কলকারখানা চালু রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সূত্র জানিয়েছে, পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া হবে।
শনিবার বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলনকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সরকার, মালিক ও শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় শ্রমিকদের করোনাভাইরাস সম্পর্কে আরও সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়। সরকার মালিক-শ্রমিক সবাইকে বৈশ্বিক এই মহামারি মোকাবিলায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বিশেষ করে কারখানায় শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহ করার জন্য মালিকপক্ষকে অনুরোধ করা হয়।
কারখানা পর্যায়ে শ্রমিকদের মাঝে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে সভায় তথ্য উপস্থাপন করা হয় এবং সারা দেশের কারখানা পর্যায়ে এক লাখ পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় সার্বিক বিষয়ে সরকার মালিক-শ্রমিক আলোচনা অব্যাহত রাখবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠনের (বিকেএমইএ) সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান, সাংসদ আবদুস সালাম মুর্শিদী, বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীন, শ্রমসচিব কে এম আলী আজম, বস্ত্র ও পাটসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান, তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ লেদার গুডস ম্যানুফেকচারার অ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টুসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মালিকপক্ষ থেকে জানানো হয় বৈশ্বিক অবস্থা বিবেচনায় ক্রেতারা ইতিমধ্যে অনেক ক্রয়াদেশ বাতিল করেছেন। এতে উৎপাদন এবং রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকের আহ্বানের দাবি জানান।