রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে মনির হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে সাবেক স্ত্রীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নিহত মনিরের সাবেক স্ত্রী স্বর্ণা আক্তার কাকলি, শরীফ মাতবর, ইব্রাহীম খলিল ও আনোয়ার হোসেন মোল্লা। এর মধ্যে শরীফ ও খলিল পলাতক রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
২০১৩ সালের ১৮ এপ্রিল কামরাঙ্গীরচরের মুন্সীহাটিতে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে মনিরের সাত টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি স্বর্ণা আক্তার নিহত মনিরের সাবেক স্ত্রী। স্বর্ণাকে তালাক দেন মনির। তালাক দেওয়ার ক্ষোভ থেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মনিরকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়।
মনিরকে হত্যার দায় স্বীকার করে দণ্ডিত স্বর্ণা আক্তার এবং আনোয়ার হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। কীভাবে মনিরকে হত্যা করা হয় তা আদালতকে জানান এই দুই আসামি।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, মনির খুন হওয়ার আগেরদিন কামরাঙ্গীরচরের বাসা থেকে তেজগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এর পরদিন তাঁর স্ত্রী হাসিনা বেগম স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মনিরের লাশ শনাক্ত করেন।
পিপি আবু আবদুল্লাহ বলেন, আপস করে দেওয়ানোর কথা বলে মনিরকে কামরাঙ্গীর চরের আশ্রাফাবাদ হুজুরপাড়া এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মনিরকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ সাত টুকরা করা হরে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।