কসবার সেই শিশু ছাত্রীর বিয়ে হয়নি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার ষষ্ঠ শ্রেণির সেই ছাত্রীর বিয়ে হয়নি। পুলিশ ও প্রশাসনের চাপে গতকাল বৃহস্পতিবার বিয়ে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে শিশুটির পরিবার।

দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়িতে ঢোকার পথে কাপড়ের তোরণ। রাস্তা থেকে বাড়ি পর্যন্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়ির উঠানে আটটি টেবিলে অতিথিদের খাওয়ানো হচ্ছে। হাজার খানেক লোকের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। অতিথিদের মধ্যে কেউ কেউ ছেলের পক্ষের লোকজন। বাড়ির দরজার বাইরে বিয়ে নিয়েই ছিল যত আলোচনা। কথা হচ্ছিল পত্রিকায় প্রকাশিত খবর নিয়েও।

কথা হয় ইব্রাহিম মিয়া ও খালেক সরদার নামে দুই বৃদ্ধের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, ‘বিয়া লইয়া সমস্যা অইছে। পত্রিকাত উডনে সারা দেশ জানছে। বাড়িত পুলিশ আইছে।’

শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। তবে অামার ছেলে সাইমনের সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠানে এক হাজার লোকের মেজবান খাওয়ানোর আয়োজন করা হয়েছে।’

কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বর হেলিকপ্টারে চড়ে আসবেন বলে মেয়ের বাবা থানায় আবেদন করেছিলেন। কিন্তু মেয়েটির বয়স কম জানতে পেরে বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। মেয়ের বাবা বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। বিয়ে দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গতকাল প্রথম আলোয় ‘নির্দেশ উপেক্ষা করে চলছে বাল্যবিবাহের আয়োজন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।