মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে বাংলাদেশের বন্ধু ভারতের নাগরিক কাদের মিয়া (৯০) মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।
কেতুগ্রামে আজ বিকেলে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয় কাদের মিয়াকে। তিনি স্ত্রী, ৭ ছেলে ও ৩ মেয়েসহ রেখে গেছেন। দুই মাস ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার কাদের মিয়াকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা পদক দেয়। কাদের মিয়া সেই পদক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে গ্রহণ করেছিলেন।
কাদের মিয়ার পুরো নাম ছিল মুন্সী মোহাম্মদ ফজলে কাদের। একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন কলকাতার পাকিস্তান উপদূতাবাসের চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী। তখন কলকাতায় উপহাইকমিশনার ছিলেন হোসেন আলি। হোসেন আলি ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতা উপদূতাবাসে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা তুলেছিলেন। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পতাকা তোলার ঘটনা এটাই প্রথম। ওই সময় তাঁর পাশে ছিলেন কাদের মিয়া।
১৯৫৩ সালের ২৪ এপ্রিল কলকাতার তৎকালীন পাকিস্তান উপদূতাবাসে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন কাদের মিয়া। অবসর নেন ২০০৩ সালের ২৪ এপ্রিল। তবে এরপর তাঁকে আরও তিন বছর চুক্তি ভিত্তিতে এই দূতাবাসে রাখা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই দূতাবাস ছিল পার্ক সার্কাসের ৯ সার্কাস অ্যাভিনিউতে, এখন যা নাম বদলে হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সরণি।