অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি সমাগম নয়

বাংলাদেশ সরকার
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবশ্যই টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে।

করোনার বিস্তার রোধে এমন বিধিনিষেধসহ কিছু জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আজ শুক্রবার এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনাগুলো হলো—

১. ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

২. বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

৩. সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যাঁরা যোগদান করবেন, তাঁদের অবশ্যই টিকা সনদ বা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে।

৪. সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবশ্যই টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দায়িত্ব বহন করবে।

৫. বাজার, শপিং মল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সব ধরনের জনসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

৬. বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনিটর করবে।

করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ে দেশে অনেকটা জ্যামিতিক হারে রোগী বাড়ছে। ফলে সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছে।

দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদেরা। মৃত্যু তুলনামূলক এখনো কম হলেও নতুন রোগী বাড়তে থাকায় সামনে মৃত্যুও বেড়ে যেতে পারে।

দেশের প্রায় সব জেলাতেই রোগী বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে এখন সংক্রমণ বেশি বাড়ছে ঢাকা মহানগর ও এর আশপাশে।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর প্রায় দুই বছর ধরে চলা এ মহামারির সংক্রমণচিত্রে কয়েক দফা ওঠানামা দেখা গেছে। এর মধ্যে পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ আকার ধারণ করেছিল গত বছরের জুন-জুলাইয়ে।

দেশে গত বছরের আগস্টে সংক্রমণ কমতে শুরু করে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও চলে আসে। তবে গত বছরের শেষ দিকে আবার সংক্রমণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। আর গত কয়েক দিনে দ্রুতই পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। প্রতি তিন-চার দিনের ব্যবধানে নতুন রোগী দ্বিগুণ হচ্ছে।

৬ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্ত হাজার ছাড়ায়। তার চার দিনের মাথায় ১০ জানুয়ারি শনাক্ত দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। ১৬ জানুয়ারি দৈনিক শনাক্ত পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছিল। আর চার দিনের ব্যবধানে গতকাল বৃহস্পতিবার দৈনিক শনাক্ত দ্বিগুণ হলো। এর আগে কখনো এত দ্রুত নতুন রোগী বাড়তে দেখা যায়নি।