প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস নিরাময়ে বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের চেষ্টার অন্ত নেই। করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণার অগ্রগতি হলেও এখনো তার কার্যকর প্রতিষেধক আবিষ্কার সম্ভব হয়নি। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরীক্ষার কিট তৈরির চেষ্টা করছে গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক লিমিটেড।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশ তাদের প্রয়োজনে করোনা ভাইরাসের কিট তৈরি করলেও বাংলাদেশে এমন কাজ প্রথম করা হলো।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক লিমিটেড কোভিড-১৯ শনাক্তে একটি কিট তৈরির শেষ ধাপে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন একটি দল গত ফেব্রুয়ারি থেকে কিট তৈরি ও উৎপাদনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ড. বিজন কুমার শীল, যিনি ২০০৩ সালে সার্স পিওসি কিট তৈরি করা দলের সদস্য ছিলেন। করোনার পরীক্ষায় প্রয়োজনীয় রিএজেন্ট ও সরঞ্জাম প্রস্তুতের শেষ ধাপে রয়েছে দলটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনুমতির জন্য এরই মধ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে (ডিজিডিএ) আবেদন করেছে গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক লিমিটেড। কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলে এক মাসের মধ্যে করোনা পরীক্ষার কিট প্রস্তুতে গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক লিমিটেড প্রস্তুত রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা প্রত্যাশা করছে, বিভিন্ন গবেষণাগারে এই কিট ২০০ টাকায় সরবরাহ করা যাবে এবং সাধারণ মানুষ পরীক্ষাটি ৩০০ টাকার মধ্যে করাতে পারবে।
গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেকের পক্ষে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার বলেন, এই কিট উৎপাদনে কাজ করেছেন ড. বিজন কুমার শিল, ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রঈদ জমির উদ্দিন এবং ড. ফিরোজ আহমেদ।
ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার জানান, এ ধরনের কিট উৎপাদন করতে হাইটেক ল্যাব প্রয়োজন। ইতিমধ্যে গণস্বাস্থ্য-আরএনএ বায়োটেক একটি হাইটেক ল্যাব স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন পেলেই আমার প্রয়োজনীয় উপাদান আমদানি করব। সব মিলিয়ে উৎপাদন করতে আমাদের এক মাস সময়ের প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে আমরা ১০ হাজার ভাইরাস শনাক্তকরণ কিট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। এই কিট ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই ল্যাবটি ‘তৃতীয় স্তরের’ বায়োসেফটি হতে হবে।