করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৩৩ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়য়ে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব মরণ কুমার চক্রবর্তী, অতিরিক্ত সচিব অমিতাভ সরকার ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভায় ৫টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলা, মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য মোট সাড়ে ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৩২৮টি পৌরসভায় জীবাণুনাশক ও সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয় করার লক্ষ্যে মোট ৯ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ৪৯২টি উপজেলা পরিষদকে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ৮টি, জেলা শহরে ৫টি এবং প্রতিটি উপজেলায় ১টি করে হাত ধোয়ার স্থাপনা নির্মাণ করছে। ইউনিসেফের সঙ্গে সভার পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রতি জেলায় ব্লিচিং পাউডার ক্রয় বাবদ ৫০ হাজার টাকা, নলকূপের খুচরা যন্ত্রাংশ বাবদ ৩০ হাজার টাকা এবং সাবান ক্রয় বাবদ ২০ হাজার টাকা অর্থাৎ জেলা প্রতি ১ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
গ্রামীণ পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য প্রতি উপজেলায় নলকূপের খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয় বাবদ ৩০ হাজার, ব্লিচিং পাউডার ক্রয় বাবদ ২০ হাজার এবং সাবান ক্রয় বাবদ ৫ হাজার টাকা অর্থাৎ উপজেলা প্রতি ৫৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্বব্যাংক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরকে হ্যান্ডওয়াশিং বেসিনে ব্যবহারের জন্য সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ক্রয় বাবদ ২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে।