করোনায় 'বাংলার মুখ যুব সংগঠনের' ভিন্নধর্মী কার্যক্রম

ব্রাহ্মণবাড়িয়াভিত্তিক ‘বাংলার মুখ যুব সংগঠন’–এর সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কারকাজ করছেন। ছবি: সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়াভিত্তিক ‘বাংলার মুখ যুব সংগঠন’–এর সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কারকাজ করছেন। ছবি: সংগৃহীত

সর্বনাশা করোনার তাণ্ডবে থমকে গেছে পৃথিবী। জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। দুর্যোগের এ সময়ে উপার্জনের সব পথ বন্ধ হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এখন চরমে। বিশেষ করে, নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষগুলোর কষ্ট চোখে পড়ার মতো। দুবেলা দুমুঠো খাদ্যের অভাবে প্রতিনিয়ত মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। এরই মধ্যে চারদিকে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে লাশের সারি। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যখন গৃহবন্দী, তখন পরিস্থিতিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে আর্তমানবতার সেবায় এগিয়ে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াভিত্তিক ‘বাংলার মুখ যুব সংগঠন’।

তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার অন্তর্গত ১০ নম্বর বায়েক ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হজরত একীন আলী শাহ মাদ্রাসা–সংলগ্ন প্রধান সড়কের একটা বিরাট অংশজুড়ে ছিল খানাখন্দ। এতে দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটত। সম্প্রতি এসব জনদুর্ভোগ লাঘবে সংগঠনটি নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরই অংশ হিসেবে তারা স্থানীয় একটি সড়কের সংস্কারকাজ করে।

সংস্কারের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার হজরত একীন আলী শাহ মাদ্রাসা–সংলগ্ন সড়ক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলার মুখ যুব সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিবুল ইসলাম রাতুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা এ রাস্তাটি বৃষ্টির পানি জমে বিলীন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে উঠেছিল। আর তাই এসব বিষয় মাথায় রেখে আমাদের সংগঠন রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেয়।

সমাজসেবার উদ্দেশ্য নিয়ে গড়ে ওঠা এ সংগঠনটির সমাজসেবামূলক কাজে এলাকাবাসী রীতিমতো মুগ্ধ। রাস্তা সংস্কারকাজে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সেই প্রমাণই বহন করে। এই কাজের মাধ্যমে সংগঠনটি একদিকে যেমন এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটিয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে তাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় বেশ শক্তভাবে জায়গা করে নিয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজ অব্যাহত রেখে সংগঠনটি মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়।

*শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। পশ্চিম গাড়াখোলা, মধুখালী, ফরিদপুর