করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানোর পর থেকে গতকাল বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ছিল একটি ব্যতিক্রমী দিন। এদিন সারা বিশ্বকে টালমাটাল করে দেওয়া ভাইরাসটির সংক্রমণে কোনো বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। গত ৫০ দিনে এই প্রথম একটা দিন কেটেছে, যখন একজন বাংলাদেশিও করোনায় মারা যাননি যুক্তরাষ্ট্রে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ১৮ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে প্রথম বাংলাদেশি মারা যান।
আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশের নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি বিশ্বের অন্য কোনো দেশেও গত ৪৮ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কোনো বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
আজ পর্যন্ত বিশ্বের ১৭ দেশে ৪৬৭ বাংলাদেশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছেন। এঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ২৩৯ জন, যুক্তরাজ্যে ১২২ জন, সৌদি আরবে ৫৫ জন, ইতালিতে ও কুয়েতে ৮ জন করে, কানাডায় ৭ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৬ জন, ফ্রান্স ও স্পেনে ৫ জন করে, কাতারে ৪ জন, সুইডেনে ২ জন, মালদ্বীপ, পর্তুগাল, কেনিয়া, লিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও গাম্বিয়ায় ১ জন করে বাংলাদেশি মারা গেছেন।
এখানে বলে রাখা ভালো, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের উল্লেখযোগ্য অংশ ওই সব দেশে নাগরিকত্ব পেয়েছেন বা প্রক্রিয়ায় রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি মারা গেলেও ওই দুই দেশে ঠিক কত সংখ্যক বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন, সে সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য জানা যায়নি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সিঙ্গাপুরে। দেশটিতে আজ পর্যন্ত ২০ হাজার ৯৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। এ ছাড়া সৌদি আরবে ১ হাজার ৭০০-এর বেশি, কাতারে ‘ হাজারের বেশি বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া কুয়েতে ১৭০, ইতালিতে ১৪০, স্পেনে ১০০-এর বেশি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৬০ জন। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বাদ দিয়ে এই দেশগুলোতে আক্রান্ত বাংলাদেশির সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।