ঢাকার সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজার মালিক আব্দুল খালেক করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে নিজের বাসায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে এই উপজেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো নয়জনে।
সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ২০১৩ সালে ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় সহস্রাধিক মানুষ মারা যান।আহত হন কয়েক হাজার মানুষ। হতাহতের বেশির ভাগই ছিলেন বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক। ওই ঘটনায় দায়ের করা একাধিক মামলার আসামি ছিলেন আব্দুল খালেক। তিনি দীর্ঘদিন ধরে জামিনে ছিলেন।তাঁর ছেলের নাম সোহেল রানা। তিনিও এ-সংক্রান্ত মামলার আসামি।
আব্দুল খালেকের মেয়ে রওশনারা বলেন, গত রোববার তাঁর বাবার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে চিকিৎসার জন্য তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু তিনি কোভিড-১৯ রোগী কিনা তা নিশ্চিত না হয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ভর্তি নেয়নি। পরে বাসায় নিয়ে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত কিনা জানতে গত সোমবার এনাম মেডিকেলে নমুনা দেওয়া হয়। আজ সকালে পাওয়া ফলাফলে দেখা যায়, তিনি করোনা পজেটিভ। কিন্তু এর আগেই আজ ভোরে তিনি মারা যান।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, আব্দুল খালেক কোভিড–১৯ রোগী ছিলেন বলে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
এদিকে সাভার ও ধামরাইয়ে গতকাল বুধবার নতুন করে ২০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সাভারের ১৪ জন এবং ধামরাইয়ে ছয়জন। এ নিয়ে দুই উপজেলায় কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ৮০০ ছাড়াল।