জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদ মনোয়ার। ফেসবুক পোস্টে দুই মাস আগে চিকিৎসকদের নিরাপদে থাকতে বলেছিলেন। লিখেছিলেন, একজনের মৃত্যু একটি ট্র্যাজেডি। যখন মৃত্যুসংখ্যা লাখ ছাড়ায়, তখন তা শুধুই পরিসংখ্যান।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটের (এনআইসিভিডি) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মাহমুদ মনোয়ার (৪৩)। মৃত ব্যক্তিদের তালিকায় আজ যুক্ত হলো স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ২২তম ব্যাচের ছাত্র মাহমুদ মনোয়ারের নাম।
এনআইসিভিডির সহযোগী অধ্যাপক কাজল কর্মকার প্রথম আলোকে জানান, চার দিন আগে মাহমুদ মনোয়ারের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরদিনই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
চিকিৎসকেরা জানান, মাহমুদ মনোয়ারের ডায়াবেটিস ছিল। বছর তিনেক আগে একবার হার্ট অ্যাটাক করে। আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি খুব বেশি সময় পাননি। দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাঁর স্ত্রী এনআইসিভিডির চিকিৎসা কর্মকর্তা। তিনিও হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এদিকে গতকাল রাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক গাজী জহির হাসান। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র গাজী জহির হাসান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মহামারিতে এ নিয়ে প্রাণ হারালেন ২৮ চিকিৎসক। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৩।