করোনাভাইরাসের সংক্রমণে গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে আরও ১৮ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশটিতে অন্তত ৫৬ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। আর যুক্তরাজ্যে নতুন করে ৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যুর ফলে সেখানে বাংলাদেশির মৃত্যুর সংখ্যা হলো ১৯।
আজ বৃহস্পতিবার প্রবাসী বাংলাদেশি ও বাংলাদেশের কূটনীতিকদের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত ৯টি দেশে অন্তত ৮৬ জন বাংলাদেশি মারা গেছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া বাংলাদেশের নাগরিকদের অধিকাংশই ওই দুই দেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ৫৬ ও যুক্তরাজ্যে ১৯ জনের পাশাপাশি সৌদি আরবে ৩ জন, ইতালি এবং কাতারে ২ জন করে এবং স্পেন, সুইডেন, লিবিয়া ও গাম্বিয়ায় একজন করে বাংলাদেশি মারা গেছেন। ঢাকায় তাবলিগ জামাত সূত্রে জানা গেছে, গাম্বিয়ায় মারা যাওয়া ব্যক্তিটি আফ্রিকার দেশটিতে তাবলিগের চিল্লায় অংশ নিয়েছিলেন।
নিউইয়র্ক পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি সেখানকার গণমাধ্যমে চিকিৎসক ফেরদৌস খন্দকারের দেওয়া বক্তব্য উদ্ধৃত করে জানান, টেস্টিং কিটের অভাবে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাড়িতে বসে সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অসংখ্য লোক টেস্ট করাতে না পেরে দিনের পর দিন বাড়িতে বসে থেকেছেন। এর ফলে সংক্রমণ পুরো কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়েছে।
এলমহার্স্ট হাসপাতালে নিজের কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ফেরদৌস খন্দকার বলেন, সেখানে এখন যত রোগী ভর্তি আছে, তার ৯৫ শতাংশই হচ্ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। প্রচুর রোগী মারা যাচ্ছে সেখানে। হাসপাতালটির চারপাশে প্রায় ১০ মাইল ব্যাসার্ধের এলাকার অধিকাংশই অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। বেশির ভাগ অভিবাসী সম্প্রদায়ের। তাদের জীবনযাপন বা চলাফেরা স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
আক্রান্ত কয়েক শ
নানা সূত্র থেকে জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ পর্যন্ত কয়েক শ বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ২০০, ইতালিতে ৪০, স্পেনে ২৩, কানাডা ও ফ্রান্সে ২০ জন করে ও জার্মানিতে ১০ জন।