সিলেটে করোনাভাইরাসের প্রভাবে পযর্টনকেন্দ্রগুলোতে হতশায় ভুগছেন পযর্টননির্ভর নিম্ন আয়ের লোকজন। করোনার প্রাদুর্ভাবে বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এর প্রভাবে লকডাউনে বন্ধ রয়েছে সবকিছু।
বাংলাদেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে সিলেটে অধিকাংশ বিদ্যমান। বিছনাকান্দি, জাফলং, রাতারগুল, সাদাপাথর (ভোলাগঞ্জ), লালাখাল, সিলেট চা–বাগান, শ্রীমঙ্গল চা–বাগান, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, হাম হাম ঝরনা, টাঙ্গুয়ার হাওর ইত্যাদি পযর্টনকেন্দ্রের মাধ্যমে জীবিকা অর্জন করে চলেছে হাজারো অসহায় নিম্ন আয়ের পরিবার।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশের সব পযর্টনকেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের লকডাউনে আছে। গত ৩ মাস কোভিড-১৯–এর ফলে সিলেটের পযর্টনকেন্দ্রগুলোও বন্ধ রয়েছে। এতে প্রায় হাজারো পযর্টন রেস্টুরেন্ট, পযর্টন হোটেল, ট্যুরিস্ট ফটোগ্রাফার, নৌকার চালক, চা–দোকানিসহ সংশ্লিষ্ট পযর্টননির্ভর প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এসব মাধ্যমে কাজ করে অসহায় পরিবারগুলোর রুটিরুজি একমাত্র সম্বল এই পযর্টনকেন্দ্র। করোনার প্রাদুর্ভাবে বর্তমানে সিলেটে পযর্টনকেন্দ্র–নির্ভর হওয়া অসহায় নিম্ন আয়ের প্রতিটি পরিবারে অভাবের ছায়া দেখা দিয়েছে।
সিলেটের বিছনাকান্দি পযর্টনের আলোকচিত্রী নিজাম উদ্দিন জানান, তাঁদের পিকনিক স্পট বন্ধ হওয়ায় এখন পরিবারে খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বিছনাকান্দি পযর্টনকেন্দ্রে পানের দোকানদার আনু মিয়া বলেন, স্ত্রী–সন্তান নিয়ে এখন না খাওয়ার উপক্রম হয়েছে তাঁদের।
সরকার ইতিমধ্যে সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনার আদেশ দিয়েছে। কিন্তু পযর্টনকেন্দ্রগুলো যদি সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার ব্যবস্থা করা যায়, তবে অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষ তিন বেলা আহারের ব্যবস্থা হবে।