করোনার টিকা প্রতিবছর নিতে হতে পারে: ড. রুব্‌হানা রকীব

ড. রুব্‌হানা রকীব আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী। সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রামের মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি নিয়ে আইসিডিডিআরবি একটি গবেষণার ফলাফল দিয়েছে। সেই গবেষণায় নেতৃত্বে ছিলেন ড. রুব্‌হানা। গবেষণার উদ্দেশ্য, ফলাফল নিয়ে তিনি বিস্তারিত কথা বলেছেন প্রথম আলোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক পার্থ শঙ্কর সাহা

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. রুব্‌হানা রকীব।
 ছবি: সংগৃহীত
প্রশ্ন

প্রথম আলো: আইসিডিডিআরবির গবেষণা পরিচালিত হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। এই দুই শহর বেছে নেওয়া কেন?

রুব্‌হানা রকীব: একটা বিষয় নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছিল যে করোনায় বস্তির মানুষ বা নিম্ন আয়ের মানুষ আক্রান্ত হন না। আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল, বস্তির মানুষের সঙ্গে আশপাশের মানুষের তুলনামূলক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করা। আর এটা করতে গিয়ে আমাদের দুই শহরকে বেছে নিতে হয়েছে। গবেষণার কাজে অর্থ তো অফুরন্ত থাকে না। এ দুটি বাংলাদেশের বৃহত্তম দুই শহর। এই দুই শহরে বেশি মানুষের বাস। প্রচুর বস্তি পাব। আবার এখানে সংগঠিত বস্তি আছে। এর পাশাপাশি গবেষণা করতে গিয়ে রক্ত সংগ্রহ, অনেক ধরনের তথ্য সংগ্রহের ব্যাপার ছিল। সেখানে পরিবহন একটি বিষয়। এসব নানা বিষয় বিবেচনায় রেখে আমরা দুই শহর বেছে নিয়েছি।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: দেখা গেল, ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামে অ্যান্টিবডি কমসংখ্যক মানুষের মধ্যে পাওয়া গেছে। এই ভিন্নতা আমাদের কী বার্তা দেয়?

রুব্‌হানা রকীব: চট্টগ্রাম না নিয়ে যদি সিলেট বা অন্য শহর নিলেও ঢাকার তুলনায় ফল একই আসত। ঢাকায় জনসংখ্যার ঘনত্ব চট্টগ্রামের তুলনায় বেশি। ঢাকা রাজধানী শহর। প্রথম যখন রোগটা ছড়াল, তখন সেটি এসেছিল বিদেশ থেকে। খুব সম্ভবত উড়োজাহাজে করে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেসব যাত্রী এসেছিলেন, তাঁদের মাধ্যমেই এটি এসেছিল। প্রথমে করোনা ঢাকায় ছড়িয়েছিল। পরে যখন মানুষ বিভিন্ন জায়গায় গেছে, এর সঙ্গে রোগটিও ছড়িয়েছে। ঢাকায় নানা কাজের জন্য মানুষের চলাফেরা ও গতিবিধি চট্টগ্রামের তুলনায় বেশি বলে এখানে বেশিসংখ্যক মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি পাচ্ছি। আর চট্টগ্রামে কমসংখ্যক মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: গবেষণা পরিচালিত হয়েছে বস্তি ও এর আশপাশের এলাকার মানুষের ওপর। দেখা যাচ্ছে, শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি বেশি হয়। তাহলে পরিশ্রম কি অ্যান্টিবডি তৈরি করার ক্ষেত্রে একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে?

রুব্‌হানা রকীব: বলতে গেলে এটা নিয়ে বিশ্বে তেমন কোনো কাজ প্রায় হয়ইনি। এ নিয়ে সারা বিশ্বে এই বিষয়সম্পর্কিত মাত্র দুটি গবেষণা প্রকাশিত আছে। একটি অ্যাথলেটদের (ক্রীড়াবিদ) নিয়ে হয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে, তাঁদের করোনা কম হয়েছিল। আবার যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিস্থিতি অতটা খারাপ হয়নি। আরও একটা কাজ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে বিভিন্ন কাউন্টির হিসাব নিয়ে দেখা গেছে, যেসব মানুষ বেশি ব্যায়াম করেন, তাঁদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ কম হচ্ছে। এটা করোনার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো গবেষণায় পাওয়া যায়নি। প্রাত্যহিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি বোঝার জন্য যে ডেটাবেইস থাকে, তা দেখে এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছিল। ইমিউনোলজিস্ট হিসেবে আমি জানি যে ব্যায়াম আমাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। আর সে ক্ষেত্রে আমরাও দেখেছি যে বস্তিবাসী এক অর্থে ব্যায়াম করেন। তাঁদের শারীরিক পরিশ্রম বেশি হয়। আমাদের গবেষণায় দেখেছি, যাঁরা মাঝারি ধরনের পরিশ্রম করেন, তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার হার কম। কিন্তু যাঁরা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন, যেমন নির্মাণশ্রমিক, তাঁদের ক্ষেত্রে বিষয়টি দেখা যায়নি। তাই বলতে পারি, মাঝারি ধরনের শ্রম কোভিড থেকে সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: গবেষণায় কতজন বস্তিবাসী আর বস্তিবাসী নন, এমন কতজনকে নেওয়া হয়েছিল? তাদের মধ্যে সংক্রমণের অবস্থা কেমন ছিল? দুই ভিন্ন পরিবেশে গবেষণার অভিজ্ঞতা কেমন?

রুব্‌হানা রকীব: আমাদের এই গবেষণায় ৩ হাজার ২০০ মানুষ অংশ নেন। ২: ১—এই হিসাবে নেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ দুজন বস্তিবাসীর বিপরীতে একজন বস্তির বাইরের মানুষকে নেওয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি বসবাসের ঘনত্বের বিষয়। বস্তিতে মানুষের সংখ্যার ঘনত্ব ফ্ল্যাটের তুলনায় বেশি। তাই সেখানকার বেশি লোককে নেওয়া হয়েছে।
৩ হাজার ২০০ জনের মধ্যে মাত্র ৪ জন মানুষ কোভিডের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। প্রায় ৩৬ শতাংশ মানুষের মধ্যে কোনো না কোনো লক্ষণ ছিল। তাও সেই লক্ষণ খুব বেশি আকারের নয়। আর বেশির ভাগ মানুষ লক্ষণহীন ছিলেন।
অভিজ্ঞতার কথা বলা যায়। বস্তির মানুষের মধ্যে গবেষণায় সহযোগিতা করার যতটা মনোভাব ছিল, ফ্ল্যাটে তেমন দেখা যায়নি। ফ্ল্যাটবাসীর মধ্যে একটু অনীহা বা অনাগ্রহ দেখা গেছে। অনেকেই ফ্ল্যাটে ঢুকতে দিতে চাননি।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যান্টিবডির হার রোগের তীব্রতা নির্দেশ করে না। আবার এর মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে, তা-ও বলা যায় না। তাহলে আইসিডিডিআরবির এ গবেষণার উদ্দেশ্য কী ছিল? যে পরিস্থিতি তুলে ধরা হলো দুই শহরের, তা থেকে আপনারা কি কোনো বার্তা দিতে চান?

রুব্‌হানা রকীব: প্রথমেই বলেছি, প্রচলিত ধারণা ছিল বস্তিতে করোনা ছড়ায়নি। আমরা এই গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করলাম, বস্তিতে করোনা ছড়িয়েছে এবং সেখানে মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আমরা দেখতে চেয়েছিলাম, রোগটি হওয়ার পেছনে কী কী কারণ কাজ করে। আমরা বেশ কিছু তথ্য নিয়েছিলাম। যেমন তাঁদের মধ্যে স্থূলতা আছে কি না, তাঁদের ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো রোগ আছে কি না, হাইপারটেনশনের ওষুধ খান কি না বা কিডনির সমস্যা আছে কি না। আমরা দেখেছি, যাঁদের স্থূলতা, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো ক্রনিক রোগ আছে, তাঁদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। এ চিত্র হাসপাতালে যেমন দেখা যায়, তেমনি সাধারণ মানুষের মধ্যেও তা দেখেছি। আমরা আরও কিছু তথ্য নিয়েছি। আমরা দেখেছি, যাঁদের ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের বা ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস আছে বা চোখেমুখে হাত দেওয়ার অভ্যাস কম আছে, তাঁদের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা দেখছি। সেটি হলো বিসিজির টিকা (যক্ষ্মা প্রতিরোধের টিকা) যাঁদের নেওয়া আছে, তাঁদের জন্য এটি সুরক্ষা হিসেবে কাজ করেছে। তাঁদের অ্যান্টিবডি পজিটিভ হওয়ার সংখ্যাটা কম। বিসিজি সুরক্ষা দেয়, এটা একটা অনুমান ছিল। কয়েকটি গবেষণায় বিষয়টি রাখা হয়েছিল। কিন্তু কেউ পরিষ্কার কোনো চিত্র পায়নি। আমরা সৌভাগ্যবান যে একটি চিত্র পেয়েছি, যা একটি কৌতূহলোদ্দীপক উপাত্ত তুলে ধরল। বিসিজির সরাসরি ভূমিকা বুঝতে হলে এর জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল লাগবে। বিশ্বে এখন বিসিজি নিয়ে তিনটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হচ্ছে।

কোভিডের ক্ষেত্রে আমরা এখনো হার্ড ইমিউনিটি নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে পারছি না যেহেতু কোনো জনসংখ্যার ৭০, ৮০, ৯০ বা ঠিক কত শতাংশের মধ্যে ইমিউনিটি পাওয়া গেলে সেটিকে হার্ড ইমিউনিটি হিসেবে ধরা যাবে তা এখনো অজানা। আর যদিও কোনো একটি জনসংখ্যার মাঝে হার্ড ইমিউনিটি অর্জিত হয় তারপরও সার্স-কোভি-২ এর নতুন নতুন ভ্যরিয়েন্ট বা ধরণ সেই অর্জিত হার্ড ইমিউনিটিকে প্রভাবিত করতে থাকবে। সেহেতু সবাইকে টিকাদানের মাধ্যমেই হার্ড ইমিউনিটি অর্জনে সচেষ্ট হতে হবে।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: আর কোনো বিষয় আপনারা দেখেছেন গবেষণায়?

রুব্‌হানা রকীব: করোনা প্রতিরোধে অণু পুষ্টিকণা (মাইক্রো নিউট্রিয়ান্ট), যেমন জিংক বা ভিটামিন ডির ভূমিকার কথা বলা হচ্ছে। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে ভিটামিন ডির ঘাটতি আছে। এটা নতুন কোনো কথা নয়। আমাদের গবেষণায় আমরা বড় সংখ্যায় বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের মধ্যে এগুলোর ভূমিকা দেখেছি। কিন্তু ভিটামিন ডির ঘাটতি হলে যে মানুষের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বা ঝুঁকি বাড়বে, তেমন কোনো প্রমাণ পাইনি।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া মানুষ করোনায় সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কামুক্ত—এ রকম আমরা বলতে পারি?

রুব্‌হানা রকীব: এটাকে ব্যাখ্যা করার দরকার আছে। আমাদের শরীরে যখন কোনো কিছুর সংক্রমণ হয়, তখন শরীর তার বিভিন্ন প্রতিরক্ষার অস্ত্র দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। এর মধ্যে একটি হলো অ্যান্টিবডি তৈরি করা। আর নানা রকম কোষ আছে শরীরে, যারা গিয়ে সরাসরি ওই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াকে আঘাত করতে পারে। অ্যান্টিবডিটা যখন তৈরি হয়, তখন সে এই ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। ফলে ভাইরাস তার কোনো ক্ষতি করতে না পারে। এখন যাঁর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, সাধারণভাবে বলাই যায়, তাঁর শরীরে একটি সুরক্ষার বর্ম তৈরি হয়েছে। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে যদি বলি, ওই অ্যান্টিবডির ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতা আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এটা একটা নতুন রোগ। একে আমরা ভালো করে চিনি না। এর অ্যান্টিবডি কতটুকু কার্যকর, সেটি নিশ্চিত করে বলার জন্য যে অনুসন্ধান করা দরকার, তা আমাদের এই গবেষণার বিষয় ছিল না। এইচআইভির কথা বলা যায়। সেখানে অনেক অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। কিন্তু এই অ্যান্টিবডি ভাইরাসকে মারতে পারে না। সেখানে কোষগুলোর একটি ভূমিকা আছে ভাইরাসকে নির্মূল করার জন্য।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: করোনার অ্যান্টিবডি কতটা কাজ করে?

রুব্‌হানা রকীব: করোনার একটি উদ্বেগজনক দিক হলো, এর ফলে সৃষ্ট অ্যান্টিবডি বেশি দিন মানুষের শরীরে থাকতে পারে না। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ওপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো কোনো মানুষের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবডি তিন মাস পর আর থাকে না। এরপর সে আবার ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায়। আবার কোনো মানুষের ক্ষেত্রে এটি ৯ মাস বা এর বেশি দিন ধরে থাকে। কোন মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি থাকবে, এটা বোঝা জটিল। অ্যান্টিবডির অবস্থা ভালো বলে কেউ যদি নিশ্চিত হয়ে যান যে তিনি আর সংক্রমিত হবেন না, তবে সেই ভাবনা একেবারে ভুল। আমাদের পরিচিত মানুষের মধ্যে বেশ কিছুজন দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হয়েছেন। আর দ্বিতীয়বার তাঁদের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। আর এখন ভাইরাসের যে নতুন ধরন এসেছে, এর মধ্যে কাঠামোগত ভিন্নতা আছে। আগে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছিল, নতুন ধরনের ক্ষেত্রে কিছুটা কার্যকর হলেও পুরোপুরি না-ও হতে পারে। তাই হাত ধোয়া, দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরার মতো বিষয়গুলো মেনে চলতেই হবে।

প্রশ্ন

প্রথম আলো: এ সময় টিকার গুরুত্ব নিয়ে কিছু বলুন?

রুব্‌হানা রকীব: টিকার ভূমিকা অনেক বড়। টিকা তো আমাদের অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এরপরও যদি কেউ আক্রান্ত হন, তবে তাঁর অ্যান্টিবডির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। একধরনের বিশেষ সেল বা কোষ আছে। এর নাম মেমোরি সেল। সেলটি ভাইরাসের বিপরীতে একবার কাজ করলে সে স্মৃতিটি ধরে রাখে। সে কোষ শরীরে কোথাও লুকিয়ে থাকে। আবার ভাইরাস আক্রমণ করলে সে দ্রুত বেরিয়ে আসে। এক হাজার থেকে এক মিলিয়ন সেল তৈরি হয়ে যাবে। এক প্রকার সেল তখন অ্যান্টিবডি তৈরি করে ও আরেক প্রকার সেল ভাইরাসকে আক্রমণ করবে। এটাই হলো টিকার গুণ। এমনও হতে পারে যে যে ফ্লুর টিকা যেমন প্রতিবছর নিতে হয়, তেমনি করোনার টিকা প্রতিবছর নিতে হতে পারে। বছরে দুবারও নিতে হতে পারে। তাই টিকা ছাড়া কোনো গতি নেই। আক্রান্ত হলে আর টিকা দেবেন না, তা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। বরং দিলে আরও বেশি অ্যান্টিবডি হয়, সুরক্ষা হয়।