করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে যত মানুষ মারা গেছে, তার চেয়ে ৩৬ গুণ বেশি মারা গেছে হৃদ্রোগে। এ ছাড়া করোনার চেয়ে দ্বিগুণ মারা গেছে আত্মহত্যায়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সঙ্গে বিবিএসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মশালায় জরিপের তথ্য জানান পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সবার মধ্যে একটা উপলব্ধি কাজ করে এমন যে করোনায় অনেক বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু পারসেপশন সব সময় সঠিক হয় না। করোনার চেয়েও বেশি মানুষ মারা গেছে হৃদ্রোগে ও আত্মহত্যায়।’ কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার, বাংলাদেশ বেতারের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (নিউজ) এ এস এম জাহীদ। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আমাদের পরামর্শ দিলেন মানুষের মধ্যে উপলব্ধি হচ্ছে যে করোনায় অনেক বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু এর বাইরে অন্য অসুখেও তো মানুষ মারা যাচ্ছে। তোমরা দেখ, অন্য রোগে কত সংখ্যক মানুষ মারা যায়। তখন আমরা ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর এই ৯ মাসের সঙ্গে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর এই ৯ মাসে দেশে বিভিন্ন রোগে কত মানুষ মারা গেছে, তা নিয়ে জরিপ করি।’
ইয়ামিন চৌধুরী জানান, ৯ মাসের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ওই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫ হাজার ২ জন। যেখানে হার্ট অ্যাটাকে এবং হার্টের অসুখে মারা গেছে ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ এই সময়ে আত্মহত্যায় মারা গেছে ১১ হাজার মানুষ।
ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শুধু করোনার পেছনেই দৌড়েছি। কিন্তু আমাদের অন্যান্য বিষয়েও যে নজর দেওয়া দরকার, করোনার জন্য হয়তো সেগুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছি না। সেসব ক্ষেত্রে আমরা যদি গুরুত্ব না দিই, তাহলে কিন্তু আমাদের অন্যান্য রোগী বেড়ে যাবে। এই তথ্যগুলো জানানো আমাদের বিবিএসের দায়িত্ব।’
কর্মশালায় জানানো হয়, প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিগত ডেটাবেইস তৈরি করবে বিবিএস। এই ডেটাবেইস সব নাগরিকের আলাদা আলাদা তথ্য যুক্ত থাকবে। বিবিএস ডেটাবেইস তৈরির জন্য ‘ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রেড’ তৈরি করবে।