করোনা চিকিৎসায় আরও একটি নতুন ওষুধ বাজারে আনছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানি এসকেএফ। ‘প্যাক্সোভির’ নামের এই কম্বিনেশন ওষুধ আজ বৃহস্পতিবার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
এ নিয়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে এসকেএফ করোনা চিকিৎসায় তিনটি ওষুধ বাজারে আনছে। আগে রেমডেসিভির ও মনুভির নামে দুটি ওষুধ তারা বাজারে এনেছিল।
আট দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (এফডিএ) সে দেশের ফাইজার কোম্পানির নির্মাট্রেলভির ও রিটোনাভির ট্যাবলেটের কম্বিনেশন ওষুধের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। প্রাপ্তবয়স্ক ও ১২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গের করোনার চিকিৎসায় এ ট্যাবলেটের অনুমোদন দেওয়া হয়।
আজ সন্ধ্যায় নতুন ওষুধটি নিয়ে এসকেএফ কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ওষুধটি নতুন বছরের জন্য ভালো খবর।
ওষুধটি বাজারে আনার জন্য তিনি এসকেএফকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে এই ওষুধ সম্পর্কে সরকারের তিনজন কর্মকর্তা কথা বলেন। ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগনিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক মো. রোবেদ আমিন বলেন, করোনা রোগীদের বেশ কিছু ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকে। কিছু রোগী হঠাৎ খারাপ হয়ে যায়। আগের ওষুধগুলোর কিছু কমতি ছিল। নতুন ওষুধটিতে সেই কমতি অনেকটাই কম। করোনার নতুন ধরন অমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গ দেখা দেয়। করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের ক্ষেত্রে ওষুধটি কার্যকর হবে বলে আশা করা যায়।
শুরুতে আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম নতুন ওষুধ আনার জন্য এসকেএফ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো স্বাস্থ্য খাতে বড় অবদান রেখে চলেছে। ওষুধের দাম সাধারণের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ফারুক আহমেদ বলেন, এসকেএফ বিশ্বমানের ওষুধ কোম্পানি। দেশে নতুন নতুন ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে এসকেএফ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। অল্প সময়ে নতুন এই ওষুধ বাজারে আনা ব্যতিক্রমী ঘটনা এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সিমিন রহমানের একটি ভিডিও বার্তা দেখানো হয়। তাতে সিমিন রহমান বলেন, করোনা মোকাবিলায় কার্যকর যেকোনো ওষুধ অল্প সময়ে মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য এসকেএফ মহামারির শুরু থেকে চেষ্টা করে আসছে। নতুন এই ওষুধ সেই ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ।