নতুন করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃত মানুষের সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে। প্রাণহানির সংখ্যা দুই থেকে আড়াই লাখ পার হতে লেগেছে ৮ দিন। অন্যদিকে, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৫ লাখ ৭১ হাজারেরও বেশি।
সোমবার ভোররাত পর্যন্ত জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, মৃত মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার ১৩৪; আক্রান্ত ৩৫ লাখ ৭১ হাজার ৬১৫।
চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত বেশির ভাগ দেশ। দ্রুত বেড়ে চলেছে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে বিশ্বের ১৮৭টি দেশ ও অঞ্চলে এর বিস্তার ঘটেছে।
করোনাভাইরাস চীন থেকে সরে ইউরোপ ও আমেরিকায় শিকড় গাড়ে। প্রাণহানি ও রোগী শনাক্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে সবাইকে ছাড়িয়েছে। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে সোমবার পর্যন্ত ১১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৪ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৬৮ হাজার ৪৪২ জন।
একটা সময় ইউরোপের দুই দেশ ইতালি ও স্পেন মৃতের সংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও খুব দ্রুতই আমেরিকায় জেঁকে বসে করোনা।মৃত্যু ও আক্রান্ত হওয়ার দিক থেকে সবার ওপরে এখন যুক্তরাষ্ট্র।
ইতালিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ১১ হাজার ৯৩৮, প্রাণহানি ঘটেছে ২৯ হাজার ৭৯ জনের। আর স্পেনে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ১৮ হাজার ১১। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৪২৮ জনের।
ইউরোপের আরেক দেশ ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ২০৪ ব্যক্তি মারা গেছেন, আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি। এখন পর্যন্ত দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন ৫১ হাজার ৪৭৪ জন।
যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ লাখ মানুষ। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৩১ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৮ হাজারের বেশি মানুষ।
যে চীনে করোনাভাইরাসে উৎপত্তি, সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ৯৬৫ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৭ জন। দেশটিতে ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ সুস্থ হয়েছেন।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৮২ জন। মোট শনাক্ত ১০ হাজার ১৪৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ১২০৯ জন।