করোনাভাইরাসের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে আরও তিনজন বাংলাদেশি মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে গত ৪৮ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে দুজন এবং যুক্তরাজ্যে একজন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত বিদেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণে এ দুই দেশে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি মারা গেছেন।
আজ শনিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশের নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
গত ৪৮ ঘণ্টায় ওই তিনজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আজ পর্যন্ত বিশ্বের ১৭ দেশে ৪৮০ জন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ২৪১ জন, যুক্তরাজ্যে ১২৩ জন, সৌদি আরবে ৬৫ জন, ইতালি ও কুয়েতে ৮ জন করে, কানাডায় ৭ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৬ জন, ফ্রান্স ও স্পেনে ৫ জন করে, কাতারে ৪ জন, সুইডেনে ২ জন এবং মালদ্বীপ, পর্তুগাল, কেনিয়া, লিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও গাম্বিয়ায় ১ জন করে বাংলাদেশি মারা গেছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মারা যাওয়া নাগরিকদের উল্লেখযোগ্য অংশ ওই সব দেশে নাগরিকত্ব পেয়েছে বা প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি মারা গেলেও ওই দুই দেশে ঠিক কতজন বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন, সে সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য জানা যায়নি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সিঙ্গাপুরে। দেশটিতে গতকাল পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি লোক আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
সিঙ্গাপুরের পর সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন কাতারে। গত শুক্রবার পর্যন্ত দেশটিতে ৩ হাজার বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সৌদি আরবে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার বাংলাদেশি। এ ছাড়া কুয়েতে ১৭০, ইতালিতে ১৪০, স্পেনে ১০০–এর বেশি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৬০ জন। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বাদ দিয়ে এই দেশগুলোতে আক্রান্ত বাংলাদেশির সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।