কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার তালশহরের (পূর্ব) সোনাসার এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
জেলা শহরের মধ্যপাড়ার ওই কাপড় ব্যবসায়ী বুধবার গভীর রাতে ঢাকার গ্রীন লাইফ হাসপাতালে মারা যান। তাঁর স্ত্রী (৪৮), দুই ছেলে যথাক্রমে ২৮ বছর ও ২৫ বছর এবং এক মেয়েও (২৩) বর্তমানে করোনায় সংক্রমিত।
সিভিল সার্জন কার্যালয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মে পরিবারটির চার সদস্যসহ ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে। কিন্তু ওই ব্যবসায়ীর ফল নেগেটিভ আসে। ফলাফল আসার আগের দিন হঠাৎ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বুকে ব্যথা ও তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তখন তাঁর অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে। জেলায় ভেন্টিলেটর বা আইসিইউর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তাঁকে ঢাকার গ্রীন লাইফ হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। অবস্থার অবনতি হলে ২৯ মে সকালে তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) এবং বিকেলে একই হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেদিন সকালেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁর করোনা শনাক্ত হয়েছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে ঝুঁকিমুক্ত রাখার জন্য প্লাজমা দেওয়ার পরামর্শ দেন। করোনাজয়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের চিকিৎসক ইনজামামুল হক ৩১ মে সন্ধ্যায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ব্যবসায়ীর জন্য প্লাজমা দেন।
সিভিল সার্জন মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ওই ব্যবসায়ী কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাঁর পরিবারের চার সদস্যও করোনায় সংক্রমিত। তাঁরা বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন।