করের বিস্তৃতি প্রসারের জন্য করবান্ধব সংস্কৃতি চালুর ওপর জোর দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। একই সঙ্গে রিটার্ন দাখিল ও সম্পদ বিবরণী দাখিলের পদ্ধতি সহজ করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। শনিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ পরামর্শ দেন তিনি।
মাসিক পত্রিকা করাদালত-এর তিন দশক পূর্তি এবং কর আইন বইয়ের প্রকাশনার রজতজয়ন্তী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘বলা হয়, যারা কর দেয়, তারাই সমস্যার সম্মুখীন হয়, আর যারা কর দেয় না, তাদের কোনো সমস্যা হয় না। এ সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে কর ব্যবস্থাকে আরও সহজীকরণ করতে হবে।’ তিনি বলেন, বিকল্প বিরোধের মাধ্যমে কর মামলাগুলো নিষ্পত্তি করার ক্ষেত্রে অধিক মনোযোগী হলে কর তথা রাজস্ব-সংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে ও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে। কর ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, কর আইন অত্যন্ত জটিল বিষয়। কর আইন হচ্ছে অস্পষ্ট। আইন যদি অস্পষ্ট হয়, তাহলে সেখানে স্বেচ্ছাচারিতার সুযোগ থেকে যায় এবং জনগণ হয়রানির সম্মুখীন হয়। দেশের বিদ্যমান কর আইনকে গবেষণা করে আরও সহজীকরণ করা হলে জনগণ কর প্রদানে উৎসাহিত হবে।
করাদালত পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আইনজীবী আবু আমজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমীরুল ইসলাম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম ও বাংলাদেশ ট্যাক্স লইয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনিরুল হুদা।