কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার আটটি কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের ঢল নামতে দেখা গেছে। এসব কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই ঘণ্টায়ই অর্ধেক ভোট পড়ে গেছে। পেকুয়া উপজেলার হোসনে আরা বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩ বিএনপি কর্মী আহত হন।
এই আসনে বিএনপির প্রার্থী হাসিনা আহমেদ বলেন, ‘নৌকার কর্মীরা ৬০টি কেন্দ্র দখল করে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে নৌকার পক্ষে সিল মারা হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর আলম বলেন, ‘বিএনপির কাজই হচ্ছে মিথ্যাচার করা। সব ধরনের নিয়ম মেনেই ভোট গ্রহণ হচ্ছে। কোথাও সমস্যা নেই।’
শীলখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমানের নেতৃত্বে হোসনে আরা বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রটি সকাল ১০টার সময় ঘিরে ফেলা হয়। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন। এ সময় ভোটাররা দিশেহারা হয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন। কেন্দ্রটি ফাঁকা হয়ে যায়। এরপর ওয়াহিদুর ইসলামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রায় দুই শ নেতা-কর্মী কেন্দ্রটি ছেড়ে চলে যান।
চকরিয়া পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নিচপানখালী কেন্দ্রের শ তিনেক ভোটার চকরিয়া বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁরা ধানের শীষের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তাঁরা জানান, তাঁদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন।
চা–বাগান মদীনাতুল উলুম ইসলামি মাদ্রাসা কেন্দ্রের সামনে আরেকটি জটলা চোখে পড়ে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা বেশির ভাগ মানুষ জানান, তাঁরা ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট ও ভোটার। তাঁদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছে না, মারধর করা হয়েছে।
কোটাখালী উচ্চবিদ্যালয়, বাটাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বরইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শীলখালী উচ্চবিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে দেখা গেছে। প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটারদের সারি ধরে ভোট দিতে দেখা গেছে।