একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনের ওয়ার্কার্স পাটির প্রার্থী মোস্তফা লুৎফুল্লাহ তাঁর নির্বাচনী পোস্টারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করছেন, যা আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ করেছেন একই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী সৈয়দ দিদার বখত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার কাছে ২০ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।
লিখিত অভিযোগে সৈয়দ দিদার বখত বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরা-১ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোস্তফা লুৎফুল্লাহ তাঁর নির্বাচনী পোস্টারে তাঁর দল ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান রাশেদ খান মেননের ছবি ব্যবহার না করে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করছেন, যা আচরণবিধির ৭–এর ২ উপবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই ছবি ব্যবহার করে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে এবং সঙ্গে সঙ্গে তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) সুনাম ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত ও ব্ল্যাকমেল করে নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
দিদার বখত বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করে ব্যক্তিগত সুবিধা অর্জনের এই অপচেষ্টা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে যথাযথ বিচার এবং তাঁকে (লুৎফুল্লাহ)মহান সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য ঘোষণাপূর্বক নির্বাচন কমিশন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।’
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা দলীয় প্রধানের ছবি ছাড়া অন্য কারও ছবি নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টারে ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
শরিক দলের প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নিলে প্রচারকাজে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত চেয়ে কমিশনকে চিঠি দেয়। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে নিবন্ধিত দলগুলোর ব্যাপারে সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।