অর্ধকোটি টাকায় কেনা পুলিশের এক কর্মকর্তার ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. আকবর হোসেন মৃধা এই আদেশ দেন।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম মো. রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী। চট্টগ্রামের পটিয়া থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দুই বছর আগে কর্মরত ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত আছেন।
ক্রোকের আদেশ দেওয়া ফ্ল্যাটটি চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর মৌজার চিটাগাং কো–অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির নাসিরাবাদ আবাসিক এলাকায় অবস্থিত। জুমাইরা গ্রান্ড ক্যানিয়ন নামীয় একটি আবাসন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের তৈরি ভবনের পঞ্চম তলার এ–৪ ফ্ল্যাটটির আয়তন ২ হাজার ১৫০ বর্গফুট। এ ছাড়া ১০৫ বর্গফুট আয়তনের পার্কিং রয়েছে ওসি রেফায়েতের নামে। ২০১৬ সালে তিনি ফ্ল্যাটটি কেনেন।
দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, নামে–বেনামে জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা মো. রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০১৭ সাল থেকে দুদকে অভিযোগ আসতে থাকে। পরে অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তাঁকে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয় দুদক। অনুসন্ধানে দুর্নীতির মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এই অবস্থায় পুলিশ কর্মকর্তা তাঁর ফ্ল্যাটটি অন্যত্র হস্তান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন গোপন সূত্র জানতে পারে দুদক। তাই ফ্ল্যাটটি ক্রোকপূর্বক দুদককে রিসিভার নিয়োগ দেওয়ার জন্য ৮ জুলাই আদালতে আবেদন করা হয়।
দুদকের আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু প্রথম আলোকে বলেন, দুদকের আবেদনটি পাওয়ার পর আদালত পুলিশ কর্মকর্তার ফ্ল্যাটটি ক্রোকের জন্য বুধবার আদেশ দেন। আদেশের অনুলিপি সদর সাবরেজিস্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে, যাতে এটি হস্তান্তর কিংবা নিবন্ধন করতে না পারে।