আসামি কারাগারে থাকলে জামিনের ক্ষেত্রে ওকালতনামায় জেলারের স্বাক্ষর এবং তা রেজিস্ট্রিভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আসামির ওকালতনামায় সংশ্লিষ্ট জেল সুপার ও ডেপুটি জেলারের পূর্ণ নামসহ স্বাক্ষর থাকতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন উচ্চ আদালত।
ওকালতনামায় ডেপুটি জেলারের সই ছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এক আসামির জামিনে মুক্তির ঘটনা নজরে আসার পর আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদেশ কার্যকরের জন্য স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কারা মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওকালতনামায় ডেপুটি জেলারের স্বাক্ষর ছাড়া জামিনে বের হওয়া আসামি মো. মিজানুর রহমানকে চার সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস ও শামীমা আক্তার। দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক শুনানিতে ছিলেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার খন্দকার মো. আল মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আলী আজম।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, প্রায় ১১ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির দুই মামলায় জিওলোজাইজ সার্ভে করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী মিজানুর রহমান গত ১৫ জুন হাইকোর্টের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ থেকে জামিন পান। জামিনের শর্তে বলা ছিল, নিয়মিত আদালত খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে জামিন হলফনামা আকারে নিয়মিত করতে হবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক প্রথম আলোকে বলেন, ওই ঘটনায় ডেপুটি জেলার খন্দকার মো. আল মামুন আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। এ ছাড়া আসামি মিজানুরের আইনজীবী শামীমা আক্তার ও ডেপুটি জেলারকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করেছেন আদালত।