এ মাসে দেওয়া টিকা ও সংক্রমণের ওপর নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
ছবি: সংগৃহীত

এ মাসে কী পরিমাণ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া যাবে এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কেমন থাকবে, তার ওপর নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি। আজ শনিবার প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী এই ছুটি আছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। কয়েক দিন আগ পর্যন্ত পৌনে এক লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় আগামী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হতে পারে এমন একটি আলোচনা শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী আজ প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোন স্তরে কতটুকু পরিমাণ খুলবে, অর্থাৎ খোলার পরিধি কতটুকু হবে, সেটা নির্ভর করছে এ মাসে কী পরিমাণ টিকা দেওয়া যাবে এবং সংক্রমণের হার কত থাকবে, তার ওপর। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাপঞ্জির সঙ্গে সমন্বয় করে খোলার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে এখন (২ আগস্ট) পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭২ হাজার ২৫৭ জন এবং চিকিৎসাশিক্ষার ৩ হাজার ৬৬২ জন শিক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে এখনো অধিকাংশ শিক্ষার্থীই টিকার আওতার বাইরে।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল আবাসিক শিক্ষার্থীদের (প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার) টিকা দিয়ে খুলে দেওয়া।

দেড় বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরিস্থিতি জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত খোলার বিষয়ে সরকার থেকে কোনো নির্দেশনা পাননি। তবে তারা শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রায় ৯০ লাখ ডোজ (প্রায় ৪৫ লাখ শিক্ষার্থী) টিকা দেওয়া গেলে সবাইকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব। সেই তথ্যও সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে।