পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাশেমের ছেলে শওকত আজিজের স্ত্রী ও পুত্রকে রাজধানীর গুলশান থেকে নারায়ণগঞ্জে তুলে নিয়ে যাওয়ার দুই দিনের মাথায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদকে বদলি করা হলো।
এর আগে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ বলেন, শওকত আজিজের গাড়ি থেকে ২৮টি গুলি, ১ হাজার ২০০টি ইয়াবা বড়ি, ২৪ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ, ৪৮ ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, শওকত আজিজ ও তাঁর গাড়িচালকের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়েছে। গাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও পুত্র ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের আটক করা হয়েছিল।
শওকত আজিজ আজ রোববার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় হারুন অর রশীদ তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। সে কারণে তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসে তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁর স্ত্রী ফারাহ রাসেল ও ছেলে আনাব আজিজকে তাঁদের গুলশানের বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যান। আর বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা ক্লাব থেকে তাঁর গাড়িটি হারুন অর রশীদের লোকজন নিয়ে গিয়ে নাটক সাজান।
গুলশানের বাসায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশের অভিযানের একটি ভিডিও শওকত আজিজ ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। সেটি দিয়েছেন প্রথম আলোকেও। সেখানে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ পুলিশের সদস্যরা শওকত আজিজের স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে হারুন অর রশীদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
হারুনকে বদলি করে পুলিশ সদর দপ্তরের (ট্রেনিং রিজার্ভ) হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে। আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ–সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন জারি করে।