মাছ–সবজিসহ নানা খাদ্যসামগ্রী বাড়ির সামনের সিঁড়িতে থরে থরে সাজানো। সকালে ও বিকেলে এগুলো স্থানীয় জনতার মাঝে বিতরণ করা হয়। প্রবাসী পরিবারের কেউ সাংসদের মুঠোফোনে কোনো চাহিদার কথা জানালে সেটা বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনের সাংসদ মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নিজের বাড়িতে অবস্থান করে এসব উদ্যোগ নিয়েছেন। চাল, ডাল, লবণসহ নানা রকম খাদ্যসামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি নিজ বাড়ির সামনে মাছ ও নানা সবজিও বিতরণ করছেন তিনি। গতকাল শুক্রবার সপ্তম দিনের মতো মাছ-সবজি বিতরণের কাজ চলছিল।
সাংসদ মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী বলেন, গত ২৫ মার্চ থেকে নির্বাচনী এলাকায় খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন তিনি। গরিব, কর্মহীন মানুষজন ছাড়াও বেদে, চা বাগানের শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন খুঁজে বের করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে তাঁর নির্বাচনী এলাকার ২১টি ইউনিয়নের ১৮৯টি ওয়ার্ডে তিন হাজার পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এই সহায়তা দেওয়ার পর ফেঞ্চুগঞ্জে নিজের বাড়িতে মাছ ও সবজি বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। দুই বেলা তিন শতাধিক মানুষের হাতে মাছ ও সবজি তুলে দেওয়া হয়। সরকারি সাহায্যের বাইরে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এ পর্যন্ত ৩৫ লাখ টাকার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন বলে জানালেন তিনি।
সাংসদ বলেন, কোনো প্রবাসী তাঁর দেশে থাকা বাড়ির সদস্যদের জন্য সহায়তা চাইলে তাঁর লোকজন সেগুলো ওই বাড়িতে পৌঁছে দেন। তিনি তাঁর নম্বর দিয়ে যেকোনো প্রয়োজনে প্রবাসীদের ও প্রবাসী পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ করতে বলেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ফেঞ্চুগঞ্জ-বালাগঞ্জ প্রবাসী অধ্যুষিত একটি এলাকা। প্রায় দুই মাস ধরে অনেক প্রবাসী দেশের বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারছেন না। তাদের কথা চিন্তা করে মুঠোফোনে সেবা দিচ্ছি। নীরবে তাদের বাড়ি সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।'
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী বলেন, 'এই দুঃসময়ে অনেক সাংসদ তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় নেই। ঢাকা থেকে তাদের পক্ষে এলাকায় খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। এই হিসেবে আমরা ভাগ্যবান। আমাদের সাংসদ নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন। জনতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। জনসচেতনতার জন্য তিনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন।'