প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। আজ বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সাংসদ ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সারা দেশে ১ হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। অবশিষ্ট নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করার জন্য ইতিমধ্যে ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা ২০১৮’ জারি করা হয়েছে। এই নীতিমালার অনুসরণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা এবং বিধিমতে প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের জন্য পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জুলাই ২০১৮ থেকে ২০২৩ মেয়াদে ৩৮ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিডিইপি-৪) গ্রহণ করা হয়েছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিক শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে। তিনি জানান, এই কর্মসূচির আওতায় ২৬ হাজার প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকসহ ৬১ হাজার ১৬৬ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিশ্ব গণিত অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশকে উন্নত করতে চাই। উন্নত করতে ব্যাপক কাজ আমরা করছি। প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক কাজ হচ্ছে।’
সংসদ নেতা বলেন, ‘এই নয় বছরের উন্নয়নে বিশ্ব আজ বিস্মিত। উন্নয়নের ধারাটা এত দ্রুতগতিতে হওয়ায় অনেকে আমার কাছে ম্যাজিক কী তা জানতে চান। তবে, এই ম্যাজিকটা কিছুই নয়। দেশকে ভালোবাসি, মানুষের কল্যাণে কাজ করি। সেটাই কারণ। জাতির পিতা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশটাকে স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন, সেটা বাস্তবায়ন করাটাকে আমার একমাত্র কর্তব্য বলে মনে করি। সে জন্যই এত কাজ করা সম্ভব হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর বহু উন্নত দেশ শরণার্থী আশ্রয় দিতে চায় না। বাংলাদেশ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এটাও বিশ্বের কাছে একটি বিস্ময়। একই সঙ্গে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে সরকার।