এবার চট্টগ্রামে পাসপোর্ট করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক রোহিঙ্গা নারী। তাঁর নাম সুমাইয়া আক্তার। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের মনসুরাবাদে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা কার্যালয়ে তাঁকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তাঁকে সহযোগিতার দায়ে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর নাম রেজাউল হক।
এর আগে গত রোববার ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে স্মার্ট কার্ড উত্তোলনের জন্য নগরের জুবিলী রোডে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গেলে লাকী নামের এক রোহিঙ্গা নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি হাটহাজারীর মির্জাপুর এলাকার নাম–ঠিকানা ব্যবহার করেন। অবাক হলেও সত্য, লাকীর ভুয়া এনআইডি সার্ভারে সার্চ করলে যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত আছে দেখা যায়। এই ঘটনায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা কার্যালয়ের পরিচালক আবু সাঈদ প্রথম আলোকে বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে পাসপোর্ট করতে না পারে সে বিষয়ে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সতর্ক করা হয়। এরই অংশ হিসেবে সন্দেহ হলে তাঁরা সুমাইয়ার আবেদন গ্রহণ না করে তাঁকে ডেকে নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুমাইয়া স্বীকার করেন, দেড় বছর আগে মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার ক্যাম্পে এসেছিলেন। দেড় মাস আগে ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রাম শহরে আসেন তিনি। রেজাউলের সহযোগিতায় পাসপোর্ট করতে আসেন। পাসপোর্টের আবেদনে হাটহাজারীর ধলই ইউনিয়নের মো. ইলিয়াছকে বাবা পরিচয় দেন। প্রকৃতপক্ষে তাঁর বাবার নাম আবুল ফয়েজ। পরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে সুমাইয়া ও রেজাউলকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডবলমুরিং অঞ্চল) মো. আশিকুর রহমান বলেন, পাসপোর্টের আবেদন করতে আসা নারী একজন রোহিঙ্গা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।