অগ্নিকাণ্ডের পর বনানীর এফ আর টাওয়ার কিছুটা হেলে পড়েছে। ভবনের ভেতরে কলাম ও স্ল্যাব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংস্কারের আগে ভবনটি আর ব্যবহার করা যাবে না। এফ আর টাওয়ারের ব্যবহারের উপযোগিতা খতিয়ে দেখতে আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে তদন্ত কমিটি ভবনটি পরিদর্শন করে। প্রাথমিক পরিদর্শন শেষে এ মন্তব্য করেছেন কমিটির সদস্যরা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। এখন পর্যন্ত বনানীর আগুনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৬ জন। আরও বহু লোক গুরুতর আহত হয়ে এখন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর কয়েকটি কমিটি হয়েছে। এর মধ্যে এই বিশেষজ্ঞ কমিটি একটি। কমিটিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন অধ্যাপক, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও সচিব (উন্নয়ন) এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রয়েছেন। কমিটি তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেবে।
কমিটির সদস্য ও বুয়েটের শিক্ষক সদস্য মেহেদী আহমেদ আনসারী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও ফায়ার সেফটি কোড অনুযায়ী সংস্কার ছাড়া ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না। এই ভবন সংস্কারে কমপক্ষে তিন মাস লাগবে। ভবনে কলাম ও স্ল্যাব ভেঙেছে এবং এটি কিছুটা হেলেও পড়েছে।
কমপক্ষে তিন মাস লাগার কারণ ব্যাখ্যা করে মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ভবনে জরুরি নির্গমন পথ ছিল খুবই অপ্রশস্ত। কেবল একটি তলায় ফায়ার ডোর ছিল, আরও বেশ কিছু জায়গায় ত্রুটি রয়েছে। এগুলো সংশোধন ছাড়া ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না।
বুয়েটের আরেকজন অধ্যাপক রাকিব আহসান বলেছেন, পরিদর্শনের সময় তাঁরা দেখেছেন যে জরুরি নির্গমন পথটি কোনো কোনো জায়গায় বন্ধ ছিল।
প্রাথমিক পরিদর্শন শেষে ভবনটির কংক্রিট ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালী। ১৮ তলা ভবনটি ২৩ তলা করায় তা কতটা ঝুঁকি তৈরি করেছে, সেটি খতিয়ে দেখতেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা।