যাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে, তাঁদের প্রত্যেকের আয়কর রিটার্ন পেশের বিধান করার প্রস্তাব করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে ২০২২–২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই প্রস্তাব করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এখন দেশে করজাল সীমিত। এর ব্যাপ্তি বাড়াতে যাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, তাঁরা আয়কর রিটার্ন পেশ করবেন। আর যাঁদের টিআইএন আছে, তাঁরা করপোরেশন হিসেবে রিটার্ন দেবেন। এটি চালু করা গেলে করের ব্যাপ্তি এবং সরকারের আয় বাড়বে।
প্রস্তাবিত বাজেটকে সাহসী বাজেট আখ্যা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোভিড–১৯ মহামারি ও রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও মন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। এটি প্রশংসার দাবি রাখে। এই বাজেট কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকায় প্রত্যাবর্তনে সহায়ক হবে।
প্রস্তাবিত বাজেটকে মধ্যবিত্তের বাজেট আখ্যা দিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্য শামসুল হক বলেন, অর্থনেতিক দিক থেকে বাংলাদেশ এখন স্বাবলম্বী। বাংলাদেশ কীভাবে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তা এখন বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে বিস্ময়। এ জাদু আর কিছু নয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ভালোবাসেন, দেশের মাটি মানুষকে ভালোবাসেন।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, কোভিড ও রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের যে চ্যালেঞ্জ, তা মাথায় রেখে জনগণের কথা ভেবে বাস্তবভিত্তিক ও গণমুখী বাজেট দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানার বক্তব্যের সমালোচনা করে মুর্শেদী বলেন, হারুন ও রুমিন যখন সংসদে কথা বলেন, তাঁরা একটি কাগজের কথা বলেন। মনে হয় যেন বাংলাদেশে একটিই কাগজ আছে, আর কোনো কাগজ নেই।
সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবীর রেমিট্যান্সে প্রণোদনা আরও বাড়ানো, খাদ্য ঘাটতি ও মূল্যস্ফীতি যাতে বেশি না হয়, সেদিকে নজর রাখার পরামর্শ দেন।
অন্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ, সরকারি দলের সংসদ সদস্য আবু জাহির, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, আবদুল মোমিন মণ্ডল, মোয়াজ্জেম হোসেন, আলী আজম, মেরিনা জাহান, হাবিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।