নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর বৈদেশিক মুদ্রা আছে ২ কোটি ৮৫ লাখ ৬২ হাজার ২৮২ টাকার। ১০ বছর আগে এই সাংসদের কাছে কোনো বৈদেশিক মুদ্রা ছিল না। ১০ বছরে নগদ টাকা বেড়েছে ১২৪ গুণ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জমা দেওয়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী একরামুলের হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা যায়। অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে নগদ টাকা খাতে এবার স্থায়ী আমানত হিসেবে ৪ কোটি ২০ লাখ ৯৫ হাজার ২৪২ টাকা রয়েছে।
জানতে চাইলে একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রাগুলো তাঁর নিজের নামে ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে। এ ছাড়া স্থায়ী আমানত রয়েছে কিছু। কোনো কিছু লুকানো নেই।
নগদ টাকা বা স্থায়ী আমানতের পরিমাণ ১০ বছরে বেড়েছে ১২৪ গুণের বেশি। তবে একই সময়ে তাঁর স্ত্রীর নগদ টাকা কমে শূন্যের কোঠায় পৌঁছেছে। তাঁর স্ত্রী কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার শিউলীর কাছে ১০ বছর আগে ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা থাকলেও বর্তমানে কোনো টাকা নেই।
২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় একরামুল করিম চৌধুরীর নগদ টাকার পরিমাণ উল্লেখ করেছিলেন ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৩০৯ টাকা। শুধু নগদ টাকা নয়, এই সময়ে একরামুল করিমের কৃষি খাতে তিন গুণ এবং ব্যবসা থেকে দ্বিগুণের বেশি আয় বেড়েছে।
একরামুল করিম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ১০ বছর আগে কৃষি ও ব্যবসা খাতে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন তিনি বাড়িভাড়া ও ব্যাংক খাতেও আয় দেখিয়েছেন। তাঁর শিপিং এজেন্ট, বার্থ অপারেটর ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা রয়েছে।
হলফনামায় তাঁর অস্থাবর সম্পদের দাম ১ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। তবে স্ত্রীর নামে কোনো অস্থাবর সম্পদ নেই। একরামুলের ৯৩ হাজার ৬০০ টাকার স্বর্ণ থাকলেও তাঁর স্ত্রীর কোনো স্বর্ণ নেই।
হলফনামায় একরামুল বলেছেন, বর্তমানে তাঁর নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে পাঁচটি বাড়ি আছে। যার দাম ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৩ হাজার ৩১০ টাকা। তাঁর বর্তমান স্থাবর সম্পদের মূল্য ১০ কোটি ৭১ লাখ ৬৬ হাজার ৫১৭ টাকা। ২০০৮ সালের হলফনামায় যা তিনি উল্লেখ করেছিলেন ১৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
২০১৮ সালের হলফনামায় একরামুল করিম উল্লেখ করেছেন তাঁর বর্তমান ব্যাংকঋণ ৪ কোটি ১০ লাখ ৭ হাজার ৫৩৯ টাকা। এর আগে ২০০৮ সালে দেওয়া হলফনামায় ব্যাংক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে তিনি দেনা ছিলেন ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৩৯ হাজার ৭২০ টাকা।