এইচএসবিসি-প্রথম আলো ভাষা প্রতিযোগ উৎসব শুরু

এইচএসবিসি-প্রথম আলো ভাষা প্রতিযোগ ২০১৭-এর জাতীয় উৎসব শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। একই সময়ে ভাষা প্রতিযোগের পতাকা উত্তোলন করেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কবি সাজ্জাদ শরিফ। এরপর সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন হয় জাতীয় সংগীত।

এ বছর অনুষ্ঠিত ১২ অঞ্চলের উৎসবের ৭৪৪ জন বিজয়ী শিক্ষার্থী দিনব্যাপী এ উৎসবে অংশ নিচ্ছে।

এইচএসবিসি-প্রথম আলো ভাষা প্রতিযোগ-২০১৭-এর জাতীয় উৎসব আজ শুক্রবার। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন। ছবি: আবদুস সালাম

মাতৃভাষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে ১২ বছর ধরে এইচএসবিসি ও প্রথম আলো যৌথভাবে এ উৎসবের আয়োজন করে আসছে। তিন বছর ধরে গণসাক্ষরতা অভিযান এতে সহায়তা করছে। এ বছর ভাষা প্রতিযোগের ১৩তম আয়োজন। ১২ বছরে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৪০ হাজার শিক্ষার্থী এ উৎসবে অংশ নিয়েছে। এ বছর যুক্ত হলো আরও ১১ হাজার।

এইচএসবিসি-প্রথম আলো ভাষা প্রতিযোগ-২০১৭-এর জাতীয় উৎসবে পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং ভাষা প্রতিযোগের পতাকা উত্তোলন করেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ। ছবি: আবদুস সালাম

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা মাতৃভাষা বাংলা শেখার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘ভাষা ও দেশ সবকিছু একই সূত্রে গাথা। আমরা ভাষাকে ভালোবাসি বলেই দেশকে ভালোবাসি। দেশের প্রতি ভালোবাসা শুরু হয় ভাষার প্রতি ভালোবাসা থেকে। ভাষাটাকে ভালো করে শিখতে হবে। বাংলা যদি ভালো করে শেখা যায়, তাহলে অন্য ভাষাগুলোর চর্চা হবে, শেখা যাবে। বাংলা ভালো করে না জানলে কোনো ভাষাই ভালো করে শেখা যাবে না।’

ভাষা প্রতিযোগের জাতীয় উৎসবে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অংশগ্রহণকারীরা এসেছে। ছবি: আবদুস সালাম

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, অধ্যাপক সৌরভ শিকদারসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষকেরা।
এবারের উৎসবে ১২টি অঞ্চল ঢাকা, খুলনা, জয়পুরহাট, ফেনী, মানিকগঞ্জ, জামালপুর, পাবনা, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, ঝিনাইদহ, রংপুর ও পটুয়াখালীর ৭৪৪ জন বিজয়ী শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষায় অংশ নেয়। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা শেষ হয়।

এরপর প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক লেখক আনিসুল হক বক্তব্য দেন। ওই সময় বিভিন্ন সময়ে বিজয়ী শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় তাদের অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা বিনিময় করে। দুপুরের খাবার বিরতির আগে জাদুকর স্বপন দিনার জাদু প্রদর্শন করবেন এবং দুর্নীতি ও মাদককে ‘না’ বলা নিয়ে একটি শপথ অনুষ্ঠান হবে।

বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের একাংশ। ছবি: আবদুস সালাম

বেলা পৌনে দুইটায় উৎসবের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। ওই পর্বে ১২টি অঞ্চলে বিজয়ী ১২ জন বানানবীরকে নিয়ে দ্বিতীয় পর্বের প্রতিযোগিতা শুরু হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে বিকেল সাড়ে চারটায় শেষ হবে ভাষা প্রতিযোগ উৎসব। পুরস্কার বিতরণী পর্বে উপস্থিত থাকবেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী।