নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিনজন চিকিৎসক, একজন উপসহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা ও একজন টিকাদান কর্মীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে তাদের শরীরে কোনো ধরনের উপসর্গ নেই।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শরীফ সাহাবুর রহমান আজ বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গতকাল সকালে চিকিৎসক ও কর্মী মিলিয়ে আটজনের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে পাঠানো হয়। আজ ভোরে সেখান থেকে ওই পাঁচজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানানো হয়।
এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও উদ্বেগরর বিষয় হলো তাদের কারও শরীরে কোনো উপসর্গ বা লক্ষণ ছিল না, এখনো নেই। তাই মনে হচ্ছে এ উপজেলায় সামাজিক সংক্রামণ শুরু হয়েছে। কিন্তু লক্ষণ না থাকায় বোঝা যাচ্ছে না।'
®উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, 'আজ বিকেল তিনটা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুরো লোহাগড়া উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা হচ্ছে পরবর্তী করণীয় নিয়ে।'