আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় বিএনপি ও জামায়াত নিজ নিজ প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছে। তফসিল ঘোষণার পরপর প্রাথমিকভাবে দুই দলই নিজেদের দলের প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। বিগত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি জামায়াতকে ছাড় দেওয়ায় জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থন-প্রত্যাশী দুজন প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মাঠে নেমেছেন। তাঁরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ এবং জেলা যুবলীগের সদস্য ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আহম্মেদুর রহমান ওরফে বিপ্লব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার পর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিএনপির আবদুল হামিদ, আওয়ামী লীগের আবদুস সামাদ ও আহম্মেদুর রহমান, জামায়াত-সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল গনি মণ্ডল, সাবেক স্বতন্ত্র উপজেলা চেয়ারম্যান কল্যাণ প্রসাদ পোদ্দার প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মাঠে নেমেছেন। তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় কর্মীদের সঙ্গে গণসংযোগ এবং সংবাদকর্মীদের সঙ্গে চা-চক্র শুরু করেছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হামিদকে দলীয় সমর্থন দেওয়ার জন্য দলের নেতা-কর্মীরা প্রাথমিকভাবে প্রস্তাব করেছেন। এ ছাড়া বিএনপির সাবেক সাংসদ আবদুল মোমিন তালুকদার দলীয় সমর্থনে প্রার্থী হওয়ার জন্য আবদুল হামিদকে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল গনি মণ্ডল এবারও জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা বলেন, গতবারের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি নিজ প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন করত। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন করার জন্যই জামায়াতকে উপজেলা নির্বাচনে ছাড় দেওয়া হয়। বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন করলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে কৌশলগত কারণেই জামায়াতকে সমর্থন করবে না।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হামিদ বলেন, সংসদ নির্বাচনের জন্য গতবার জামায়াতকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। এবার জোটের পক্ষ থেকে একজনকে প্রার্থী করার জন্য জামায়াতের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তবে জামায়াত প্রস্তাবে রাজি না হলে বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েই নির্বাচন করা হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও জামায়াতের সাবেক আমির আবদুল গনি মণ্ডল বলেন, বিএনপিকে এলাকার সংসদ সদস্যের পদ ছেড়ে দেওয়া আছে। যেহেতু বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জামায়াত-সমর্থিত; সে ক্ষেত্রে জামায়াত পদ ছাড়তে রাজি হবে না। প্রয়োজনে জামায়াত দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে এককভাবে নির্বাচন করবে।
আবদুল মোমিন তালুকদার বলেন, যদি বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে দলের একজনকে সমর্থন দেয়, সে ক্ষেত্রে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবে।