বাংলাদেশ–ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির দাবি

উন্নয়ন ব্যাহত করতে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে অপপ্রচার

দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে কতিপয় ব্যক্তি ও সংগঠন নির্মাণাধীন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি। গতকাল মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ দাবি করে।
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ উদ্যোগে বাগেরহাটের রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হলে দেশের উন্নয়নে নতুন দিগন্ত সূচিত হবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ হবে না। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুন্দরবনের ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্বঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য থেকে ৬৯ কিলোমিটার দূরে এবং সুন্দরবনের প্রান্ত সীমা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর ও আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংরক্ষণকারী সংস্থার নিয়মকানুন মেনে করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পরিবেশ দূষণকারী কালো ধোঁয়া নির্গত হবে না। ব্যবহারের জন্য কয়লা আবৃত অবস্থায় বহন করা হবে। কোনো দূষিত বা গরম পানি নদীতে ফেলা হবে না। কেন্দ্রের চিমনির উচ্চতা ২৭৫ মিটার হওয়ায় বায়ুদূষণের কোনো আশঙ্কা নেই। সুতরাং এতে সুন্দরবনের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও এলাকার মানুষের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। এ অবস্থায় এই প্রকল্প নিয়ে ‘কতিপয় ব্যক্তি ও সংগঠন’ বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে। এ ধরনের প্রচার-প্রচারণা ভিত্তিহীন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ ঘোষিত হয়েছেন। সুতরাং তাঁর পক্ষে প্রাকৃতিক পরিবেশে ক্ষতি হয়, এমন কোনো কাজ করার প্রশ্নই উঠে না।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হলে সংলগ্ন এলাকায় কাজের সুযোগ তৈরি হবে বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি বলছে, সুন্দরবন এলাকার কৃষক, জেলে ও শিকারিরা সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল থাকায় গত ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে সুন্দরবনের আয়তন ছোট হয়ে আসছিল। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবনের ওপর এদের নির্ভরশীলতা কমবে। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা পাবে।