পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশি বাধা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে মানুষ যাঁর যাঁর বাড়িতে ফিরতে পারবেন। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সরকার ঘরমুখী মানুষকে বাড়ি যেতে বাধা না দিয়ে নিরাপত্তা দিতে পুলিশ সদর দপ্তরকে এ নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ঈদে যাতে নিজ অবস্থান ছেড়ে কেউ গ্রামের বাড়ি না যেতে পারেন, সে ব্যাপারে বিভিন্ন জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যাতে কেউ ঢাকায় ঢুকতে কিংবা বের হতে না পারে, সে ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তাচৌকি (চেকপোস্ট) জোরদার করার নির্দেশ দেন।
আজ পুলিশ সদর দপ্তরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যাঁরা ঈদে বাড়িতে যেতে চান, পুলিশ যেন তাঁদের চলাচলে বাধা না দেয়। তাঁরা ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
ডিএমপির উপকমিশনার (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) মো. ওয়ালিদ হোসেন আজ শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যাঁরা বাড়ি যেতে চান, তাঁরা বাড়ি যেতে পারবেন। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
ডিএমপির একাধিক কর্মকর্তা জানান, গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবহার করে বাড়ি ফেরা যাবে। পুলিশ সদস্যরা রাস্তায় থাকবেন। কেউ যেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি না ফেরেন, তা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদ্যাপন করতে যাওয়া যাবে। তিনি বলেছেন, কোনো ধরনের গণপরিবহন ব্যবহার করা যাবে না।
আজ র্যাবের সদর দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে র্যাবের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যে কেউ গ্রামের বাড়িতে যেতে পারবেন। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'জনকল্যাণের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করব। যদি ব্যক্তিগত গাড়িতে কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভ্রমণ করেন, তাহলে তিনি পরিবারের সঙ্গেই থাকছেন।'