ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এড়ানো ও গণপরিবহনের চলাচল সুষ্ঠু করতে দেশের জাতীয় মহাসড়কগুলোতে মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং রিকশা, ইজিবাইক ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারির সময় দেশের রাস্তায় ১০ লাখ নতুন মোটরসাইকেল নেমেছে। একই সময় ইজিবাইক নেমেছে প্রায় ২০ লাখ। সব মিলিয়ে বর্তমানে ৩৫ লাখের বেশি মোটরসাইকেল ও ৪০ লাখের কাছাকাছি ইজিবাইক রাস্তায় চলাচল করে।
এসব বাড়তি যানবাহনের ফলে দেশে যানজট ও জনজট প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে বলে দাবি করেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব। তিনি বলেন, এবারের ঈদে জাতীয় মহাসড়কে এসব যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ভয়াবহ ভোগান্তির সৃষ্টি হতে পারে।
বিবৃতিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি বলেছে, ঈদে গণপরিবহনের সংকট হবে। আর এই সুযোগে ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন জেলা ও দূর-দূরান্তে ১২ লাখ ট্রিপ (যাতায়াত) মোটরসাইকেলে হতে পারে। এ ছাড়া রাইড শেয়ারিং ব্যবস্থায় আরও ৪০ থেকে ৪৫ লাখ ট্রিপ মোটরসাইকেলে হবে।
জাতীয় মহাসড়কে ২০ থেকে ২৫ লাখ মোটরসাইকেল ঈদযাত্রায় থাকবে। এসব মোটরসাইকেলে মানুষের পাশাপাশি মালামাল নিয়ে ভারসাম্যহীন অবস্থায় বেপরোয়াভাবে বাস-ট্রাকের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া হয়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাব বলছে, গত ঈদুল ফিতরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৩ জন নিহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে শুধু মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৩৯ জন নিহত হন। এবারের ঈদে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে প্রায় তিন গুণ যাত্রী মোটরসাইকেলে যাত্রা করতে পারেন। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও তিন গুণ বেড়ে যেতে পারে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এবারের ঈদে ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব।