ই-পেমেন্টের মাধ্যমে ১ জুলাই থেকে শুল্ক কর পরিশোধ করা যাবে

আগামী ১ জুলাই থেকে আমদানি-রপ্তানিসংক্রান্ত শুল্ক কর ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধের ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে। ফলে আমদানি-রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে শুল্ক কর সরকারি কোষাগারে জমা করতে পারবেন। এতে সময় সাশ্রয় হবে।

আজ সোমবার বেলা ১১টায় সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সম্মেলনকক্ষে ই-পেমেন্টবিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার মোহাম্মদ আহসানুল হক এ তথ্য জানান। সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট ও সোনালী ব্যাংকের সহযোগিতায় এ কর্মশালা হয়।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব। প্রধান অতিথি বক্তৃতায় আরও জানান, সিলেটের এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং তামাবিল স্থলবন্দরে এএসআইকোডা সিস্টেম চালু থাকায় বর্তমানে এই ২টি পোর্ট দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ‘ই-পেমেন্ট’ ব্যবহার করা যাবে। ১ জুলাই থেকে পরবর্তী ৬ মাস ২ লাখ টাকার অধিক শুল্ক কর পরিশোধ এবং আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে যেকোনো পরিমাণ শুল্কের ক্ষেত্রে ই-পেমেন্ট ব্যবহার করা যাবে। প্রাথমিকভাবে সোনালী, অগ্রণী, জনতা ব্যাংক এবং বিকাশ ও রকেটের মাধ্যমে ‘ই-পেমেন্ট’ করা গেলেও আগামীতে অন্যান্য ব্যাংকেও তা চালু করা হবে।

অন্যদের মধ্যে কর্মশালায় বক্তব্য দেন চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি চন্দন সাহা, পরিচালক মো. এমদাদ হোসেন, পিন্টু চক্রবর্তী, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী, খন্দকার ইসরার আহমদ রকী, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাহ আলম, সিলেট জেলা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট গ্রুপের সভাপতি মো. বশিরুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন চেম্বারের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মিনতি দেবী। প্রশিক্ষণ দেন সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নুরুল হক। অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কাস্টমস বিভাগের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ।

সভাপতির বক্তৃতায় আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, ই-পেমেন্ট সিস্টেম চালু সরকারের একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এ সিস্টেমটি অনেক কার্যকর হবে। তবে যেকোনো নতুন সিস্টেম চালুর আগে সংশ্লিষ্ট খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা জরুরি। এ বিষয়টি বিবেচনা করেই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ই-পেমেন্ট’ সিস্টেমের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।