এক লাখ গ্রাহকের প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ শপের দুটি ব্যাংক হিসাব খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। গত ২০ জুলাইয়ের হিসাব অনুযায়ী, সেই দুটি ব্যাংক হিসাবে বর্তমানে আছে ৩ কোটি ১২ লাখ ১৪ হাজার ৩৫৬ টাকা।
প্রতিষ্ঠানটির হিসাব বিবরণীর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আরও দেখা গেছে, গত ২০ জুলাই পর্যন্ত সিটি ব্যাংকের একটি হিসাবে জমা পড়ে ৬২০ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ৭২৯ টাকা। এই সময়ের মধ্যে ৬২০ কোটি ৪৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৯২ টাকা তুলে নেওয়া হয়। বর্তমানে ওই হিসাবে টাকা জমা আছে ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৭ টাকা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ই-অরেঞ্জের ব্র্যাক ব্যাংকের হিসাবে জমা ছিল ১ হাজার টাকা। তবে গত ৩০ জুন পর্যন্ত এই ব্যাংক হিসাবে জমা পড়ে ৩৯১ কোটি ৬৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৭৯ টাকা। একই সময়ে এই হিসাব থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ৩৮৮ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৫৯ টাকা। বর্তমানে জমা আছে মাত্র ২ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৯ টাকা।
ই-অরেঞ্জের গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইতিমধ্যে দুটি মামলা (তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও গুলশান) হয়েছে। একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তেজগাঁও জোনাল টিমের পরিদর্শক শেখ লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ই-অরেঞ্জের দুটি ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত তথ্য ইতিমধ্যে আমরা সংগ্রহ করেছি। তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
ই-অরেঞ্জ নামের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি লোভনীয় অফার দিয়ে দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে। মোটরসাইকেল, মুঠোফোনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র বিশেষ মূল্যছাড়ে কেনার জন্য বিপুল পরিমাণ গ্রাহক প্রতিষ্ঠানটির হিসাবে অগ্রিম অর্থ জমা দেয়।
গ্রাহকের টাকা তছরুপের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান।’ গুলশান থানায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ই-অরেঞ্জের গ্রাহকের টাকা তছরুপের সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, যার নাম উঠে আসবে, তাকেই গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
ই-অরেঞ্জ নামের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটি লোভনীয় অফার দিয়ে দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে। মোটরসাইকেল, মুঠোফোনসহ অন্যান্য জিনিসপত্র বিশেষ মূল্যছাড়ে কেনার জন্য বিপুল পরিমাণ গ্রাহক প্রতিষ্ঠানটির হিসাবে অগ্রিম অর্থ জমা দেয়। কিন্তু গত এপ্রিল মাস থেকে যথাসময়ে পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ তুলতে শুরু করেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা। পণ্য না পাওয়া গ্রাহকেরা প্রতিষ্ঠানটির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যোগাযোগ করলেও তাঁদের সহযোগিতা না করার অভিযোগ ওঠে। গত মঙ্গলবার ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা প্রতিষ্ঠানটির গুলশান কার্যালয় ঘেরাও করে। পরে সেদিন রাতে কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক গ্রাহক প্রতিষ্ঠানটির একসময়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাংসদ ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার পল্লবীর বাসার সামনে ভিড় করেন। পরদিন তাহেরুল ইসলাম নামের একজন গ্রাহক গুলশান থানায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমানসহ পাঁচজনের নামে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে মামলা করেন। সেদিনই সোনিয়া ও তাঁর স্বামী মাসুকুর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান। পরদিন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) আমান উল্লাহ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে পলাতক রয়েছেন বীথি আক্তার ও কাউসার আহমেদ।
আমরা সরকারের কাছে ন্যায়বিচার চাই। হয় আমাদের পণ্য দেওয়া হোক, তা না হলে আমাদের আসল টাকাটা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।মামলার বাদী তাহেরুল ইসলাম
ই-অরেঞ্জ নামের প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্যোক্তা হিসেবে কাগজপত্রে নাম আছে সোনিয়া মেহজাবিনের। প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু ২০১৮ সালে। প্রতিষ্ঠানটি নিজেকে প্রাইভেট কোম্পানি দাবি করে বিভিন্ন পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরদাতার মধ্যে রয়েছেন স্বয়ং মেহজাবিনও। অথচ পুলিশের তদন্ত ও মেহজাবিনের আইনজীবীর বক্তব্য অনুযায়ী, ই-অরেঞ্জ নামের এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে আসছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান উদ্যোক্তা সোনিয়া মেহজাবিন বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানার আপন বোন। এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, বোনের ব্যবসায় নেপথ্যে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন তিনি। অবশ্য পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোর কাছে অস্বীকার করেছেন। অবশ্য পুলিশের হাতে আসা ই-অরেঞ্জের দুটি ব্যাংক হিসাবে শেখ সোহেল রানা নামের এক ব্যক্তি গত ৫ জানুয়ারি থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের ব্যবধানে ই-অরেঞ্জের সিটি ব্যাংকের হিসাব থেকে প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা তুলে নিয়েছেন। টাকা উত্তোলনকারী শেখ সোহেল রানা সোনিয়া মেহজাবিনের ভাই শেখ সোহেল রানা কি না, সে বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য আজ শুক্রবার বনানী থানার পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানার সরকারি মুঠোফোন নম্বরে অন্তত সাতবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি। কয়েকবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
তবে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, জব্দ করা ই-অরেঞ্জের ব্যাংক হিসাবে কে টাকা তুলেছেন, কে টাকা জমা দিয়েছেন—সব তথ্যই পাওয়া গেছে। এসব তথ্য পর্যালোচনা করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ই-অরেঞ্জের গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় গণমাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানার নাম আসা প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও গণসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা যদি চাকরিবিধি কিংবা অন্যান্য বিধির পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকেন, তাহলে নিশ্চয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার আট দিন আগে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আমান উল্লাহ চৌধুরী ই-অরেঞ্জের ৬৬৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে সাবেক সিওও নাজমুল আলম রাসেলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশের একটি প্রতিবেদনও বলছে, ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ গত ছয় মাসে ৩৬ হাজার ২৮১টি মোটরসাইকেল কেনে। এই মোটরসাইকেল কেনা বাবদ প্রতিষ্ঠানটির দুটি ব্যাংক হিসাব থেকে দেশের সাতটি মোটরসাইকেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ৬৬৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা জমাও দেওয়া হয়েছে।
ই-অরেঞ্জের বর্তমান সিওও আমান উল্লাহ চৌধুরী মামলায় দাবি করেছেন, সাবেক সিওও নাজমুল আলম মোটরসাইকেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে আঁতাত করে কোম্পানির টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কোম্পানি টাকাও দিলেও প্রকৃত গ্রাহকেরা মোটরসাইকেল বুঝে পাননি।
ই-অরেঞ্জের ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনা করে পুলিশের প্রতিবেদন বলছে, মামলার আসামি সুলতান উদ্দিনের ‘বাজাস কালেকশন’–এর ব্যাংক হিসাবে ই-অরেঞ্জের ব্যাংক হিসাব থেকে ৩৮৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার ৭২০ টাকা জমা হয়েছে। আর আসামি মাহাদী হাসানের ‘অল জোন’ নামের প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা পড়েছে ১৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। আর আসামি পার্থ প্রতীমের ‘বাইক ভ্যালি’র ব্যাংক হিসাবে ই-অরেঞ্জের ব্যাংক হিসাব থেকে ৭৩ কোটি ৮৭ লাখ ৬৬ হাজার ৪১২ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। আর মাহাদী আবিদের ‘আবিদ টিভিএস মটরস’ নামের ব্যাংক হিসাবে ৯ কোটি ৩৪ লাখ ২৭ হাজার ৯০০ টাকা হস্তান্তর করা হয়েছে ই-অরেঞ্জের হিসাব থেকে।
অবশ্য তদন্ত কর্মকর্তা শেখ লিয়াকত আলী বলেন, ই-অরেঞ্জের ব্যাংক হিসাব থেকে ৬৬৩ কোটি টাকা মোটরসাইকেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে হস্তান্তর হলেও বেশির ভাগ গ্রাহক মোটরসাইকেল বুঝে পাননি। বাইক কেনার নামে কীভাবে টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর হয়েছে, সেসব বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অবশ্য ই-অরেঞ্জের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নাজমুল আলমের আইনজীবী শান্তনু ধর। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নাজমুল আলম চার মাস আগেই কোম্পানি থেকে চাকরিচ্যুত। মার্চ মাসের পর ই-অরেঞ্জের কী হয়েছে, সেই দায় নাজমুলের নয়।
ই-অরেঞ্জের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে গত ১১ মে প্রচারিত একটি অনুষ্ঠানে সোনিয়া মেহজাবিন জানান, তিনিই এখন ই-অরেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ গ্রেপ্তার হওয়ার পর সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বজনেরা দাবি করে আসছেন, তিনি কোম্পানির মালিকানা বীথি আক্তারের কাছে হস্তান্তর করেছেন গত এপ্রিল মাসে। অবশ্য ই-অরেঞ্জের ব্যাংক হিসাবের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, সোনিয়া মেহজাবিনের হিসাবে গত ২৩ মার্চ ই-অরেঞ্জের হিসাব থেকে ৭১ লাখ ৭৯ হাজার ৬০০ টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে।
ই-অরেঞ্জের ব্যাংক হিসাবে জমা পড়া গ্রাহকের টাকা যার হিসাবে পাওয়া যাবে কিংবা যে বা যারা আত্মসাৎ করেছে, তাদের সবাইকে ধরা হবে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম
সোনিয়া মেহজাবিনের আইনজীবী মামুনুর রশীদ প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের দায় মেহজাবিন কিংবা তাঁর স্বামীর নেই। কারণ, এপ্রিলে বীথি আক্তারের কাছে প্রতিষ্ঠান বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গুলশান থানায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বীথি আক্তারকে খুঁজছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রায় এক লাখ গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের দায় এড়াতে যদি প্রতিষ্ঠান হস্তান্তর দেখানো হয়, সেটি তদন্তে উঠে আসবে। ই-অরেঞ্জের ব্যাংক হিসাবে জমা পড়া গ্রাহকের টাকা যার হিসাবে পাওয়া যাবে কিংবা যে বা যারা আত্মসাৎ করেছে, তাদের সবাইকে ধরা হবে।
১৭ আগস্ট করা গুলশান থানায় করা মামলার বাদী তাহেরুল বলছেন, বীথি আক্তার সোহেল রানার স্ত্রী বলে তিনি শুনেছেন। তবে সোহেল রানা তা অস্বীকার করেছেন।
ই-অরেঞ্জের দুটি ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, অদিতি নামের এক নারী ই-অরেঞ্জের হিসাব থেকে সব থেকে বেশিবার টাকা উত্তোলন করেছেন। কয়েক কোটি টাকা তিনি ই-অরেঞ্জের হিসাব থেকে তুলে নিয়েছেন। এ ছাড়া ই-অরেঞ্জের হিসাব থেকে অরেঞ্জ বাংলাদেশ, রেড অরেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালসহ অনেকগুলো ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবেও বিপুল অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়।
মামলার বাদী তাহেরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক কষ্টের টাকা ই-অরেঞ্জের হাতে তুলে দিয়ে মাসের পর মাস লক্ষাধিক গ্রাহক পণ্য না পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। টাকা আদায়ের জন্য ই-অরেঞ্জের সোনিয়াদের নামে গ্রাহকের পক্ষে মামলা করেছি। এখন আমাকেও হয়রানির হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে ন্যায়বিচার চাই। হয় আমাদের পণ্য দেওয়া হোক, তা না হলে আমাদের আসল টাকাটা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।’
ই-অরেঞ্জের গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ই-কমার্স ব্যবসার নামে গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের পদ-পদবি না দেখে দ্রুত প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা দরকার। নিশ্চয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেই ব্যবস্থা নেবেন। আর যাঁরা ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের যাতে শাস্তি নিশ্চিত হয়, সে ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষ সব সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখবে।