আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে দুটি আইনের খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। তবে ২০২২ সালে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে আইন করা সম্ভব হবে না। সংসদের আগামী বা তার পরের অধিবেশনে এই আইন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) বিল ২০২১ বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের আলোচনায় বিরোধী সাংসদদের বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এর আগে বিলটি বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের আলোচনায় বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ ও জাতীয় পার্টির সাংসদ মুজিবুল হক নির্বাচন কমিশন গঠন ও ইসি নিয়োগে আইন প্রণয়নের দাবি জানান।
হারুনুর রশীদ বলেন, বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে অনাস্থা তৈরি হয়েছে। বিচারপতি নিয়োগে আইন হয়নি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ইসির মেয়াদ শেষ হবে। এখনো নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন হয়নি।
হারুনুর রশীদ প্রশ্ন রাখেন, সরকার কি ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করতে চাইছে? জনগণ সেটা মেনে নেবে না। তিনি ইসি নিয়োগে আইন করার দাবি জানান। একই দাবি জানান জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক।
হারুনুর রশীদ ও মুজিবুল হকের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিচারক নিয়োগ ও নির্বাচন কমিশন গঠনসংক্রান্ত দুটি আইনের খসড়া করা হচ্ছে। সম্প্রতি সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)–এর প্রতিনিধিরা তাঁকে ইসি গঠনে একটি আইনের খসড়া দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, এতে সবই আছে। এখন অধ্যাদেশ জারি করলেই হয়ে যায়।
আনিসুল হক বলেন, ‘তখন আমি পরিষ্কার করে বলেছি, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এই আইন সংসদে আলোচিত না হওয়া পর্যন্ত, তা করা ঠিক হবে না। এতে আমি বোধ হয় সংসদ সদস্যদের সম্মান কমাইনি, বাড়িয়েছি। আমি মনে করি, এটা সংসদে আলোচিত হওয়া উচিত। আমার পরিকল্পনা (চলতি সংসদের) পরের সংসদ বা তার পরের সংসদে আমরা এটা আলাপ করব। কিন্তু অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ তাড়াহুড়ো করে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করা যাবে না বলেই আমি বলেছি।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্র্যাকটিক্যাল স্পিকিং অ্যান্ড স্পিকিং দ্য ট্রুথ ইজ দ্য রাইট থিং। সেই জন্য আমি আশ্বস্ত করিনি। তবে দুটোই আমরা করার চেষ্টা করছি।’