পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকার করে না বাংলাদেশ। তাই সেখানে কোনো বাংলাদেশি গেলে তাঁর শাস্তি পেতে হবে।
রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আজ বুধবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন। ফিলিস্তিনকে ওষুধসামগ্রী উপহার হস্তান্তর অনুষ্ঠানের পর তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের এমডি এবাদুল করিম।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পরীক্ষিত বন্ধু। ১৯৭২ সাল থেকেই আমরা তাদের পাশে থেকেছি। আমরা ইসরায়েলকে দেশ হিসেবে স্বীকার করি না। যত দিন আমরা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দিচ্ছি, তত দিন কোনো বাংলাদেশি সেখানে যেতে পারবেন না। কোনো বাংলাদেশি সেখানে গেলে শাস্তি পেতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোনো কোনো গণমাধ্যম পাসপোর্ট সংশোধন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তবে ইসরায়েল নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান খুব সুস্পষ্ট। ফিলিস্তিন নীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান পরিবর্তন হয়নি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, মাস ছয়েক আগে বাংলাদেশ সরকার ই-পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েল প্রসঙ্গটি বাদ দেয়। বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ছাড়া সব দেশে ভ্রমণ করা যাবে’ কথাটি বাদ পড়ায় হতাশা প্রকাশ করেছিলেন ঢাকায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত। বাংলাদেশ সরকার বলছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের ইসরায়েল ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। এ পরিবর্তন করা হয়েছে পাসপোর্টের আন্তর্জাতিক মানের স্বার্থে।
বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস থেকে পাওয়া ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ওষুধসামগ্রী আজকের অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনকে উপহার দেওয়া হয়। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় ফিলিস্তিনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য এসব ওষুধসামগ্রী সরবরাহ করা হবে।
এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনির জন্য মানবিক সহায়তা হিসেবে ৫০ হাজার ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ সহায়তার জন্য ঢাকায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।