গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে রাজধানীর শাহবাগ থেকে তুলে নিয়ে গেছে র্যাব। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁকে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় র্যাব-৩–এর চারটি গাড়ি সেখানে ছিল।
চলমান মাদকবিরোধী কর্মসূচি ঘিরে বিকেল চারটার দিকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণজাগরণ মঞ্চের একটি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ইমরান এইচ সরকারকে ওই অনুষ্ঠান থেকেই আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ঠিক কী কারণে তাঁকে আটক করা হয়েছে, তা নিয়ে পরিষ্কার কিছু জানায়নি র্যাব। তবে প্রাথমিকভাবে র্যাব জানিয়েছে, অনুমোদন ছাড়া কর্মসূচি পালন করতে যাওয়ায় ইমরানকে আটক করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল চারটার দিকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা মাদকবিরোধী অভিযানের নামে নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু একই স্থানে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের মানববন্ধন থাকায় তা পিছিয়ে সাড়ে চারটায় নেওয়া হয়। বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটেরে দিকে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন ইমরান এইচ সরকার। এ সময় জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে সাদাপোশাকের আট নয়জনের একটি দল ইমরানকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। ইমরানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তাতে বাধা দেন গণজাগরণ মঞ্চ ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা। এ সময় সাদাপোশাকের ওই দলটি মাইক্রোবাসের সামনে র্যাবের পরিচয়–সংবলিত একটি কাগজ লাগিয়ে দেয়। পাশাপাশি কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের লাঠিপেটাসহ ধাওয়া দেন র্যাবের সদস্যরা। এতে দীপক শীল নামে ছাত্র ইউনিয়নের এক নেতাকে আহত হতেও দেখা যায়। ঘটনার সময় একই স্থানে পুলিশের অর্ধশত সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইমরান এইচ সরকারের কর্মসূচির কোনো অনুমতি ছিল না। শুধু ছাত্র ইউনিয়নের কর্মসূচির মৌখিক অনুমতি ছিল। তাই আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম। ইমরানের বিরুদ্ধে আমার থানায় কোনো মামলা নেই। তাঁর আটকের ব্যাপারে র্যাবই ভালো বলতে পারবে।’
জানতে চাইলে র্যাব-৩–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. এমরানুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইমরান এইচ সরকারকে আটক করা হয়েছে শাহবাগে তাঁর কর্মসূচির অনুমতি ছিল না বলে। এরপরও তিনি সেখানে কর্মসূচিতে পালন করছিলেন। এর আগেও তিনি একই কাজ করেছিলেন। তখন তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে পরে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।’