অক্ষম ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নে অবদান রাখায় বাংলাদেশি ‘ডিজঅ্যাবিলিটি অ্যাডভোকেট’ ভাস্কর ভট্টাচার্য ইউনেসকো পুরস্কার পাচ্ছেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেসকো সদর দপ্তরে ‘ডিজিটাল এমপাওয়ারমেন্ট অব পারসনস উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিস’ অনুষ্ঠানে ইউনেসকো তাঁকে এই পুরস্কার দেবে। বেসরকারি খাতে চীনা প্রতিষ্ঠান টেনসেন্টকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে।
কুয়েতের সহায়তায় প্রবর্তিত এবং সে দেশের সাবেক আমির জাবের আল আহম্মাদ আল জাবের আল সাবাহর নামে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে অব পারসনস’ উপলক্ষে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) এবং জ্ঞানের মাধ্যমে অক্ষম ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য ভাস্কর ভট্টাচার্যকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্যে অক্ষম ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তি ও সমতা নিশ্চিতকরণ এবং ২০৩০ সাল নাগাদ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মূল বিষয় ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পিছিয়ে থাকবে না কেউ’।
এটি উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে থাকবে এবং যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল স্টার কলেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট লুসি হকিং (প্রখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের কন্যা) সেখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। লুসি হকিং একই সঙ্গে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন ইউনেসকোর যোগাযোগ ও তথ্য শাখার নলেজ সোসাইটিস ডিভিশনের পরিচালক ইন্দ্রজিৎ ব্যানার্জি।
ইউনেসকোতে নিযুক্ত কুয়েতের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ড. আদম আল মোল্লা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন। কুয়েত সরকারের প্রতিনিধি শেখ মুবারক জাবের আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহ অপর একটি অধিবেশনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন। এ ছাড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ভাস্কর ভট্টাচার্য (ব্যক্তিগত পর্যায়ে) ও লরেট টেনসেন্ট (সাংগঠনিক পর্যায়ে) অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।
ব্যক্তিগত ক্যাটাগরিতে চট্টগ্রামভিত্তিক এনজিও ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন থেকে ভাস্কর ভট্টাচার্য বক্তব্যে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন। তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা প্রতিবন্ধীদের কাজের সুযোগ করে দিতে নিয়োগকারীদের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রতিবন্ধী এবং তথ্য অধিকার বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে প্রচারণাও চালিয়ে থাকেন। ভট্টাচার্য ভিজ্যুয়াল, প্রিন্ট এবং শিক্ষিত প্রতিবন্ধীদের জন্য চারটি ফর্মে বাংলাদেশের প্রথম সহজলভ্য ডিকশনারি প্রকাশ এবং প্রতিবন্ধীদের ই-মাইক্রো ক্রেডিট সাপোর্টের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করার ক্ষেত্রেও সফল হয়েছেন।
সাংগঠনিক ক্যাটাগরিতে ইন্টারনেটভিত্তিক প্রযুক্তি এবং কালচারাল এন্টারপ্রাইজ টেনসেন্ট (চীন) ইনক্লুসিভ ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়নে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি অ্যাকসেস টু ইনফরমেশনে গুরুত্ব দিয়েছে। চীনে সব মানুষের জন্য আগাম তথ্যপ্রাপ্তিতে অপটিমিস্টিক ডিজিটাল টেকনোলজিতে পেশাগত তথ্যপ্রাপ্তিতে সহযোগী টেনসেন্ট। প্রতিবন্ধীদের জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ প্রয়োজনে জটিল তথ্যপ্রাপ্তি এবং ডিজিটাল ডিভাইস আরও সহজ করতে টেনসেন্টের পণ্য সহায়ক হচ্ছে।