আড়ংয়ের নারী কর্মীদের পোশাক পরিবর্তনের ছবি তুলে প্রতারণার দায়ে গ্রেপ্তার সিরাজুল ইসলাম ওরফে সজীবকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিরাজুল দায় স্বীকার করেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার অপরাধ দমন বিভাগ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
এর আগে ২৫ জানুয়ারি আড়ংয়ের এক নারী কর্মীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিরাজুলকে শেওড়াপাড়ার মণিপুরিপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাইবার অপরাধ দমন বিভাগের সহকারী কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ প্রথম আলোকে বলেন, ১৬ জানুয়ারি আড়ংয়ের এক নারী কর্মকর্তা তাঁর শাখাপ্রধানসহ সাইবার অপরাধ দমন বিভাগে যোগাযোগ করেন। এর আগে তাঁরা একটি সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছিলেন। ওই নারী অভিযোগ করেন, একটি ফেক আইডি থেকে মেসেঞ্জারে তাঁর ছবি তুলে পাঠানো হয়েছে এবং ভিডিও চ্যাট না করলে আরও ছবি প্রকাশ করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। নারীটি সন্দেহভাজন একজনের নামও বলেন। সেই অনুযায়ী পুলিশ প্রথমে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেন এবং তাঁর ডিভাইস থেকে ছবি বের করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সিরাজুল এর আগেও জনা দশেক নারী কর্মীর ছবি তুলেছিলেন। তিনি আরও একজনকেও এই ছবি পাঠিয়ে প্রতারণার চেষ্টা আগে করেছিলেন। তা ছাড়া আড়ংয়ের কর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর ছবি আপলোড করেছিলেন। গত বছরের অক্টোবরে ওই নারী অভিযোগ জানালে আড়ং তদন্ত করে এবং ডিসেম্বরে সিরাজুলকে চাকরিচ্যুত করে।
ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ জানিয়েছেন, অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হলে সিরাজুলের কমপক্ষে ১০ বছরের কারাদণ্ড হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
আড়ংয়ের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, এক নারীর অভিযোগের পর আড়ং বিষয়টি তদন্ত করে এবং ঘটনার সত্যতা জানতে পারে। এরপরই সিরাজুলকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে সিরাজুল ইসলামের মামলাটির ব্যাপারে আড়ং প্রথম থেকেই অবগত আছে। এই মামলা দায়েরের ব্যাপারে অভিযোগকারীকে শুরু থেকেই আড়ং সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছে।