আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির নয়: হাইকোর্ট

>ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ হবে না বলে দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আদালত তা মঞ্জুর করে সেই মর্মে আদেশ দিয়েছেন

ভবিষ্যতে কোনো আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে (এজলাসে) না তুলতে সতর্ক করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল সোমবার এ আদেশ দেন।

বিচার শেষ না হওয়া কয়েকটি মামলায় এক দশকের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা ১০ বন্দীর মধ্যে কয়েকজনকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে হাইকোর্টে আনা হয়। আদালত এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারা উপমহাপরিদর্শক ও জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ককে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল কারা উপমহাপরিদর্শক তৌহিদুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর কবির আদালতে হাজির হন। এ সময় আদালতে ওই ১০ বন্দীর বিষয়টি আদালতের নজরে আনা সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী সৈয়দা সাবিনা আহমেদ মলি এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
তৌহিদুল ইসলাম আদালতকে বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। পুলিশের চাহিদা অনুসারে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আসামিদের আনা হয়। এ জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে এমন হবে না। আদালতের আদেশ অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এরপর জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘পুলিশ নিয়ে এসেছে। ব্রিটিশ আমল থেকে এই পদ্ধতি চলে আসছে। নিয়ে আসার সময় ডান্ডাবেড়ি খোলার ব্যবস্থা নেই।’
এ সময় আদালত বলেন, ‘পদ্ধতি নাই, ব্যবস্থা করবেন তো।’ আদালত এরপর দুই কর্মকর্তাকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে আদেশ দেন। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রথম আলোকে বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ হবে না বলে দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আদালত তা মঞ্জুর করে সেই মর্মে আদেশ দিয়েছেন।