প্রয়াত কবি আল মাহমুদের জানাজা আজ শনিবার বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে। কবির পরিবারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আল মাহমুদের মরদেহ আজ বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে বাংলা একাডেমিতে নেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টা ৫ মিনিটে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে কবি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
কবির বড় মেয়ে মীর আতিয়া গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাবা বাঙালি জাতির সম্পদ। এই জাতি তাঁকে যেভাবে শ্রদ্ধা জানাতে চায়, জানাবে। আমাদের প্রত্যাশা, তাঁকে তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকু অন্তত দেওয়া হোক।’
কবির পরিবারের পক্ষ থেকে কবি আল মাহমুদকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে দাফন করার ইচ্ছে পোষণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সদয় সহযোগিতা আশা করছে তারা। সেটি সম্ভব না হলে তাঁকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে দাফন করাতে চায় কবি পরিবার। সব শেষে যদি কোনো জায়গাতেই অনুমতি না মেলে, তাহলে কবিকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
বাংলাদেশের প্রধান কবি আল মাহমুদ গত শনিবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পাঁচ দিন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে থাকার পর শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে চিকিৎসকেরা তাঁকে লাইফ সাপোর্ট দেন। রাত ১১টা ৫ মিনিটে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ইবনে সিনার নিউরোমেডিসিনের অধ্যাপক আবদুল হাই। তিনি বলেন, ‘কবির ডিমেনশিয়া ও নিউমোনিয়া ছিল। নিউমোনিয়া বেড়ে গিয়েছিল। শেষের দিকে নতুন একটি সমস্যা যুক্ত হয়েছিল। তাঁর রক্তচাপ কমে যাচ্ছিল। ওষুধ দিয়ে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। শুক্রবার দুপুরে ওই ওষুধের মাত্রাটা বাড়িয়ে দিতে হয়। তখনই বুঝেছিলাম অবস্থা ভালো নয়। সন্ধ্যার পর তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। সে সময়ই তিনি ক্লিনিক্যালি মারা যান।’
আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। তাঁর বাবা মীর আবদুর রব ও মা রওশন আরা মীর। তাঁর দাদা আবদুল ওহাব মোল্লা ব্রিটিশ ভারত শাসনামলে হবিগঞ্জ জেলায় জমিদার ছিলেন।
আল মাহমুদ কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সাধনা হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন। স্কুলজীবনেই শুরু হয় তাঁর লেখালেখি।
আরও পড়ুন