বিজিবি–বিএসএফ বৈঠক আজ

‘আলোচনায় সীমান্ত হত্যা প্রাধান্য পাবে'

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ প্রধানের মধ্যে আজ রোববার বৈঠক শুরু হবে। ছয়দিনব্যাপী বৈঠকে সীমান্ত হত্যার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একজন কর্মকর্তা বাসসকে বলেন, ‘সীমান্ত হত্যা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বছর আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ৩৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।’

বিজিবির অপারেশন ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বাসসকে বলেন, সীমান্তে হত্যার যেকোনো ঘটনার পরে ‘আমরা সর্বস্তরে আলোচনা শুরু করি’ এরপরে বাংলাদেশ বরাবরই সীমান্তে সহিংসতায় বেশি গুরুত্ব দেয়। তিনি বলেন, সীমান্তে শিবিরপর্যায়ে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সেসের (বিএসএফ) সঙ্গে পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ করা হয় এবং হত্যা বন্ধে কূটনৈতিক উদ্যোগের জন্য বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে উত্থাপন করা হয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। গতবছর এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩। এ বছরের প্রথম সাত মাসে ২৯ জন নিহত হয়েছে।

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এম শাফিনুল ইসলাম এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে (বিএসএফ) সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান রকেশ আস্থানা বিজিবির পিলখানা সদর দপ্তরে দুই পক্ষের আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন।

বিজিবির অপারেশন ডিরেক্টর জানান, বৈঠকে আন্তঃসীমান্ত বিশেষত মাদক চোরাচালান, কাঁটাতারের বেড়া ও অন্যান্য স্থাপনার মতো বিভিন্ন কাঠামো নির্মাণ ও অন্যান্য আলোচনার বিষয় রয়েছে। তবে তিনি এই বৈঠক একটি রুটিন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, উভয়পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থের পাশাপাশি দুই সীমান্তবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের উপায় নিয়ে আলোচনা করবে।

নয়াদিল্লি থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিএসএফের পক্ষ থেকে আলোচনায় গবাদিপশু পাচার, মুদ্রা ও মানবপাচার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার, ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর কর্মকর্তা এবং তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা ঢাকায় যাবেন।