কুমিল্লা সিটি নির্বাচন

আ.লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ ইসির

আরফানুল হক
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন রিটার্নিং কর্মকর্তা, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারকে এই নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, মনোনয়ন পাওয়ার পর একটি মিছিল এবং কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও বাইরে সভার দুটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই ভিডিও এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ের আলোকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঘটনার তারিখ, স্থান, সময় ও প্রকৃত ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বিষয়টি তদন্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। সোমবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে এই প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর গত শনিবার রাত সোয়া আটটায় ঢাকা থেকে কুমিল্লায় আসেন আরফানুল হক। এরপর তিনি কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ ক ম বাহাউদ্দিনের সঙ্গে কুমিল্লা নগরের রামঘাটে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যান। বাহাউদ্দিন মেয়র প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের নিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।

দলীয় সূত্রগুলো জানায়, শনিবারের সভায় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন করতে দেশের একটি প্রচলিত আইন পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমার একটাই কষ্ট, সিটি করপোরেশনটা বানাইলাম, আমাদের লোক তো মেয়র হতে পারল না। আপা (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) প্রথমবার আফজল খানকে মেয়র পদে নমিনেশন (মনোনয়ন) দিলেন। তিনি ৩৫ হাজার ভোটে ফেল করেছেন। পরেরবার আবার একটা চক্রান্ত করে ওনার (আফজাল খান) মেয়েকে (আঞ্জুম সুলতানা) দিয়ে দিলেন। এবার আমাদের প্রার্থী রিফাত (আরফানুল হক)। আগামী ১৫ জুন কুমিল্লার নেক্সট মেয়র জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেব।’

বাহাউদ্দিন আরও বলেন, ‘অনেক দিন পর আমাদের রাজনীতির এক অ্যাচিভমেন্ট (অর্জন) হয়েছে। আমি কুমিল্লাবাসীকে বলব, নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের পর আমার আর আপনাদের সামনে আসার সুযোগ নেই। মানুষ যেন শান্তিতে ভোট দিতে পারে, সেটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’