গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনা নির্ণায়ক জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট র্যাপিড টেস্টিং কিট। এর ফলে গবেষক বিজন কুমার শীল উদ্ভাবিত এই কিটের কৃতিত্ব অন্য দেশ নিয়ে নিতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নগর হাসপাতালে আজ বুধবার এক সেমিনারে জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, ‘বিজনের সুনামটা অন্য দেশ নিয়ে যাবে, বাংলাদেশ পাবে না। এটি হলো আমাদের আমলাতান্ত্রিকতার অসুবিধা।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন এক দিনে ওরা যেমন ৪৫টি সেন্টারে ৮ হাজার টেস্ট করে, আমরা এই টেস্ট এক দিনে ৫০ হাজার করতে পারতাম। খরচ কম ও সহজ হতো।’
পিসিআর যেটা করতে পারে, তাঁদের কিট সেটা করতে পারে কি না, সেটা যাচাই করে দেখার আহ্বান জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাঁদের কিটের সঙ্গে পিসিআর পদ্ধতির ম্যাচিং হলে সেটা দ্রুত জানিয়ে দেওয়ার জন্য বলেন তিনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত এই কিট বিএসএমএমইউতে ট্রায়ালে পাস করবে—আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই ট্রাস্টি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটা ব্যাপক আকারে করার জন্য আমাদের ৫০ কোটি টাকা ধার দিন। এই প্রকল্প এগিয়ে নেওয়ার জন্য কোনো একটা ব্যাংককে বলে দিন, কোনো আমলাতান্ত্রিকতা বাদে। যাতে প্রতি মাসে ১ কোটি কিট তৈরি করতে পারি।’
১৩ মে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বিএসএমএমইউতে ২০০ কিট হস্তান্তর করে। এর আগে গত ৩০ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে বিএসএমএমইউতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অনুমতি দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।